টিপু হত্যা মামলা : আসামি জিতুর জামিন শুনানি মুলতবি

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটে সন্তোষ প্রকাশ স্থানীয়দের

পরের সংবাদ

রোগ ঠেকানোর গবেষণা

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মানুষের রোগ হয় কেন, আর কী করেই বা তা ঠেকানো যেতে পারে- তা জানতে হাজার হাজার মানবদেহ ও মস্তিষ্কের ওপর এক নতুন ধরনের গবেষণা চলছে যুক্তরাজ্যে। এ গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার মানুষ; যাদের দেহ ও মস্তিষ্ক স্ক্যান করে আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করা হবে যে মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাতে কী পরিবর্তন হয়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার বা স্মৃতি লোপ পাওয়ার মতো রোগগুলোকে কীভাবে আগেভাগেই চিহ্নিত করা যায় এবং তা রোধ বা চিকিৎসা করা যায়- তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
গবেষণার ফলে ইতোমধ্যে একটি জেনেটিক পরীক্ষা উদ্ভাবিত হয়েছে। যা দিয়ে কোনো মানুষ যদি হৃদরোগের বর্ধিত ঝুঁকি নিয়ে জন্মান তা শনাক্ত করা যেতে পারে।
বিবিসির সংবাদদাতা ফার্গাস ওয়ালশ এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন। নয় বছর আগে তাকে প্রথমবার স্ক্যান করা হয়েছিল এবং এবার দ্বিতীয়বারের মতো তার মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, চোখ এবং হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা হবে।
এতে অংশ নেয়া সব স্বেচ্ছাসেবীর উপাত্ত যুক্তরাজ্যের একটি বায়োব্যাংকে সংরক্ষিত হচ্ছে এবং ৯০টিরও বেশি দেশের গবেষকরা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় এই তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করছেন।
এতে একজন মানুষের দু’দফায় কয়েক বছরের ব্যবধানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এমআরআই করা হয়। অর্থাৎ শব্দতরঙ্গ দিয়ে তার দেহের বিভিন্ন অংশের স্ক্যান করা হয়। এতে স্মৃতি লোপ, ক্যানসার ও হৃদরোগের মতো রোগগুলোকে চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করার নতুন নতুন পথের সন্ধান পাওয়া যায়।
এ প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী অধ্যাপক নাওমি অ্যালেন বলেন, ‘আমাদের যতই বয়স বাড়ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রত্যঙ্গগুলোতে কী পরিবর্তন হচ্ছে; তা দেখতে পারবেন গবেষকরা। এর ফলে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার বা সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষায় তা চিহ্নিত হওয়ার অনেক বছর আগেই একেকটি রোগের চিহ্নগুলো শনাক্ত করতে তা সহায়ক হবে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ গবেষণা থেকে আরো নানা তথ্য জানা যেতে পারে।
বায়োব্যাংকের কর্মকর্তা এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক পল ম্যাথুজ বলছেন, কোন কোন লোকের মধ্যে কেন অন্যদের চেয়ে কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে বা একটা বিশেষ চিকিৎসা কোন রোগীর দেহে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে এসব বিষয়ে জানা সম্ভব হবে।
যেভাবে চলছে গবেষণা : ইউকে বায়োব্যাংক প্রথম চালু হয় ২০০৬ সালে। প্রথমে এতে ৫ লাখ মানুষের জিনোম বা সম্পূর্ণ ডিএনএ সিকোয়েন্স, স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য এবং জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়।
ইমেজিং বা স্ক্যানিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। এখানে অংশগ্রহণকারীদের সবাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবেই এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন।
এই বায়োব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে গবেষকরা কোনো ব্যক্তির করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি কিনা তা বের করার একটি জেনেটিক টেস্ট উদ্ভাবন করেছেন। বিবিসি বাংলা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়