ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমাদের জাতীয় জীবনের স্বকীয়তা রক্ষায় এবং আমাদের স্বাধীনতার আবশ্যিকতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কোনো তুলনা নেই। গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার অর্জন, সাম্যবাদিতা শ্রেণিবৈষম্যের বিরুদ্ধাচরণসহ বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়কে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন এক মহান অর্জন। এ দেশের সিংহভাগ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার রং কখনোই বিবর্ণ হতে পারে না। যা থাকবে চির রঙিন চির ঝলমলে। চির অমøান। তবে হাজার বছরের বহুল কাক্সিক্ষত এই স্বাধীনতা অর্জনে নতুন প্রজন্মের অনুভূতি বা ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত? বিশেষ করে যাদের জন্ম স্বাধীনতা অর্জনের পরে। এ জন্য নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের আসল ও সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্তির কঠোর সংগ্রামমুখর আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র মন দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের স্বাধীনতা গোলটেবিল আলোচনার মাধ্যমে আসেনি। নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ চর্চা সম্বন্ধে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শোনাও জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কিছু বিভ্রান্তমূলক তথ্য সংযোজিত হয়েছে হয়তো রাজনৈতিক কারণে। নতুন প্রজন্মকে নিজের বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস বের করে আনতে হবে এবং তা ব্যক্তিগত জীবনে চর্চা করতে হবে, একই সঙ্গে সঠিক ইতিহাসনির্ভর মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার প্রাসঙ্গিকতার প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চর্চার মাধ্যমেই নতুন প্রজন্ম একটি দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিহীন সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার মর্মবাণী দেশের সর্বস্তরের মানুষের ক্ষেত্রে সফল প্রায়োগিকতার মাধ্যমে এবং এর প্রয়োজনীয়তাকে সর্বক্ষেত্রে পৌঁছে দেয়া হবে নতুন প্রজন্মের সুনাগরিকতার পরিচয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চর্চায় নতুন প্রজন্মের ধ্যান ও জ্ঞানের পরিধির পরিসর আরো বিস্তৃত হোক। এবং নতুন প্রজন্মের মননে ও প্রকরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো প্রবলভাবে চর্চা ও ধারণের মাধ্যমে সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে উঠুক সেই প্রত্যাশার প্রাপ্তি যেন ঘটে। তাই স্বাধীনতার মাসে নতুন প্রজন্মের শপথ হোক ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রাখব ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে’।

নুরুন্নবী খোকন : কবি ও লেখক, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়