ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

পরিকল্পিত পাম বাগান গড়ে তোলা জরুরি

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন চিকিৎসক স্টেফান রিপিচ তার ‘ডায়াবেটিক নিরাময় খাদ্য’ বইতে উল্লেখ করেছেন যে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো ভোজ্যতেল। একজন লোকের দৈনিক খাবারের ৩০ শতাংশ পুষ্টি ক্যালরি ভোজ্যতেল থেকে আসা প্রয়োজন। তেল হরমোন উৎপাদন, স্বাস্থ্যবান হাড় গঠন, সুষ্ঠু ত্বক এবং শারীরিক দৈনন্দিন কর্মের জন্য আবশ্যক। ভোজ্যতেল শরীরে পুষ্টি গ্রহণে সহায়তা করে এবং শরীরের ভেতর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে রক্ষা করে। সেচুরেটেড তেল খুবই স্থিতিশীল, সহজে অক্সিডাইজ হয় না এবং রেনসাইড হয় না। পাম তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল, তিল তেল সেচুরেটেড তেলের দৃষ্টান্ত। সেচুরেটেড ভোজ্যতেল হজমে সাহায্য করে। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাংলাদেশ ২৩ লাখ টন অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি করেছে যাতে ২ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। এ অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের মধ্যে ১৯ লাখ টন ছিল পাম তেল এবং ৪ লাখ টন ছিল সয়াবিন তেল। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ নিজের প্রয়োজন মেটানোর মতো ভোজ্যতেল উৎপাদন করতে সক্ষম।
পৃথিবীর যে কোনো ভোজ্যতেল অপেক্ষা পাম তেল হেক্টর প্রতি উৎপাদন অনেক অনেক বেশি। হেক্টর প্রতি পৃথিবীতে গড় পাম তেল উৎপাদন হয় ৩.৭৪ টন। হেক্টর প্রতি সয়াবিনের উৎপাদন মাত্র ০.৫ টন। বর্তমানে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপাদন করে এবং সমস্ত পৃথিবীতে রপ্তানি করে থাকে। ভারত ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে পাম বাগান গড়ে তোলার বিশাল প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যখন আবহাওয়া উষ্ণতা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে সেটা পাম গাছের পাম ফল উৎপাদনের জন্য ভালো সময় নয়। তবে জল সেচের মাধ্যমে এ অসুবিধা কাটিয়ে ওঠা সহজ। বছরের অবশিষ্ট ১০ মাস পাম ফলের জন্য খুবই উপযোগী।
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক হারে পরিকল্পিতভাবে পাম বাগান গড়ে তোলা জরুরি। এ সব বাগান প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে সহায়ক হবে। দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে শত শত শ্রমিক মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাম বাগানে কাজ করে আসছেন। পাম বাগান গড়ে তোলায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে পাম বাগান গড়ে তুলতে তাদের কাজে লাগানো যায়। পাম গাছের ফল থেকে তেল নিষ্কাশন করে কয়েক বছর বাংলাদেশ নিজের জন্য ভোজ্যতেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। পাম বাগান গড়া ও পরিচর্যায় বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থানও সম্ভব হবে।

মো. আশরাফ হোসেন : সাভার, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়