তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

নোয়াখালীতে অশান্ত কাঁচাবাজার সাধ্যের বাইরে মাছ-মাংস

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : পবিত্র রমজান মাস ঘিরে প্রতি বছর দেশের পাইকারি-খুচরা সব বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে। রাজধানীর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয় স্থানীয় বাজারগুলোতেও। প্রতি বছরের মতো বাজার পরিস্থিতি এবারো স্বস্তিকর নয়। রমজানের শুরুতেই নোয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে বেগুন, শসা, টমেটো, গাজর, লেবুসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম। মাছের দাম চড়েছে আরো। বাজারে মাছ, শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
গতকাল শুক্রবার জেলার পৌরবাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুর, মাইজদী বাজার ও চৌমুহনীসহ আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। রমজানে এসব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। ১২০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ সপ্তাহের ব্যবধানে কমে ৮০ টাকায় নেমেছে।জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চাষি আবির হোসেন বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করছি। রমজান উপলক্ষে দাম বাড়াইনি। তবে আমাদের কাছ থেকে কিনে নেয়ার পর ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে প্রতি হালি লেবু ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক হাছান বলেন, প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
একই এলাকার বরকত উল্যাহ বলেন, আমরা ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর খুচরা বিক্রেতারা কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দাম নিচ্ছেন।
পৌরবাজারের ব্যবসায়ী সুমন বলেন, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম না বাড়লেও রমজানে চাহিদা বাড়ায় বাজারে দাম চড়া। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মান্নান নগরের সবজি বিক্রেতা কফিল উদ্দিন বলেন, রমজান উপলক্ষে কিছুটা দাম বেড়েছে। যা কয়েকদিন আগেও বেশ কম ছিল। রমজানের কারণে বাজারে কাঁচাপণ্যের চাহিদা বেড়েছে, এ কারণে দামও কিছুটা বাড়তি।
জেলা শহরের পৌরবাজারের সবজি বিক্রেতা আজগর হোসেন বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের চাহিদা বেশি। রোজার শুরুতে বাজার চড়া থাকা স্বাভাবিক। তবে খুব বেশি দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। কদিন পরে দাম আবার স্বাভাবিক হতে পারে। পৌরবাজারে বাজার করতে আসা সোহেল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচাবাজারের সবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রমজান ঘিরে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো পণ্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে।
এদিকে মাছের দাম আগে থেকেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রমজানের শুরুতে দাম আরো বেড়েছে। বাজারে রুই মাছের কেজি ৪২০ টাকা, চিংড়ি এক হাজার টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪৫০ টাকা, ইলিশ মাছ ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, শোল ৮০০ টাকা, গ্রাস কার্প ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ১ হাজার টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়