সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জে ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত গৃহহীনরা : ‘অখন নিজের ঘরে মরতে ফারমু’

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : ‘কোনো দিন সফনেও (স্বপ্নেও) ভাবিনি নিজের একটা ঘর অইব। অখন মাথা গুঞ্জার ঠাঁই অইছে। মাইনষের বাড়ি বাড়ি এবং ঝুফরি ঘরে আর থাকতে অইব না। অখন নিজের ঘরে মরতে ফারমু।’
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের রহিমা বেগম। শুধু রহিমা বেগমই নন, তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাটের বাঁকপ্রতিবন্ধী আবের নেছা, সোনাপুরের আমিনা খাতুন, মানিগাঁওয়ের জুলেখা বেগমসহ ঘর পাওয়া সব ব্যক্তির অভিব্যক্তি প্রায় একই রকম। আবেগাপ্লুত হয়ে কিছু ব্যক্তিকে কান্না করতেও দেখা গেছে।
জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছেন আরো এক হাজার ২১৩টি পরিবার। গত বুধবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের জমিসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনটি ধাপে সুনামগঞ্জে আরো পাঁচ হাজার ৮২১টি পরিবারকে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়া হয়। বুধবার নতুন করে এক হাজার ২১৩টি ঘর দেয়া হলে এ জেলায় মাথাগোঁজার ঠাঁই পেল সাত হাজার ৩৪টি পরিবার। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মহিউদ্দিন জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৪৬টি। এর মধ্যে চতুর্থ পর্যায়সহ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৪ জন সুবিধাভোগী। অন্য আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ৩৪৪টিসহ মোট ৭ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। বুধবার ঘর দেয়ার পর এ জেলায় আরো এক হাজার ৬৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার রয়েছে। বুধবার জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়