সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

মির্জাগঞ্জ : সাংবাদিকের নামে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় অভিযুক্ত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সাদ্দামকে প্রধান আসামি করে পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাদ্দাম উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের আবদুল মজিদ মুন্সির ছেলে।
জানা যায়, রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গত ১২ মার্চ ওই চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ‘মির্জাগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের চাল নিয়া চালবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এর আগে ১১ মার্চ সংবাদটি প্রকাশ না করার শর্তে মুঠোফোনে চেয়ারম্যানের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই সাংবাদিক। ওইদিনই রাত ৮টায় উপজেলা পরিষদের পুকুরের ঘাটে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে চেয়ারমানের দেখা হয়। তখন তিনি পুনরায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা চাইলে চেয়ারম্যান ১৬ হাজার টাকা দেন। তখন ওই সাংবাদিক তার সঙ্গে আরো লোক আছে বলে বাকি ৮৪ হাজার টাকা দুই দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে চাপ দেয়।
কিন্তু পরের দিনই (১২ মার্চ) তিনি সংবাদটি প্রকাশ করে দেন। এ সংবাদের প্রতিবাদে পরদিন (১৩ মার্চ) চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করলে সাদ্দাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে অজ্ঞাত কয়েকজন লোকসহ চেয়ারম্যানের বসতঘরের সামনে যান। চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হলে সাদ্দাম দাবিকৃত চাঁদা চাইলে চেয়ারম্যান অস্বীকৃতি জানালেন। তার বসতঘরের (বিল্ডিং) বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ছবি তুলতে থাকেন সাদ্দাম। চেয়ারম্যান নিষেধ করলে অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তার সঙ্গে থাকা লোকদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাদ্দাম চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোর কাছে ১ লাখ টাকা চাইছিলাম, কিন্তু ১৬ হাজার টাকা দিছো। বাকি ৮৪ হাজার টাকা দাও নাই, বাকি টাকা দিয়া দিবি।
অন্যথায় চেয়ারম্যানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবেন বলে হুমকি দেন। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সাদ্দামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়