প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন জরুরি : ড. এম শামসুল হক, অধ্যাপক, বুয়েট

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে সড়ক পরিবহন আইন শতভাগ এবং কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের দেয়া ১১১ সুপারিশ অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না। সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. এম শামসুল হক বলেন, আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর লোকজনের উদাসীনতার কারণে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন, তাই তারা সড়কের আইন মানেন না। এদের অবহেলার কারণে বাস ও অন্য পরিবহনের চালকরা আইন অমান্য করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। সড়কের অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্যই আইন হয়েছে, বিধিমালা হয়েছে। অথচ আইন ও বিধিমালা পাওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন না হওয়া দুঃখজনক। সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের দেয়া ১১১ সুপারিশের মধ্যেই সড়ক ব্যবস্থাপনা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে নজরদারি, সড়কে চলাচলের নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। সড়ক আইনে দুর্ঘটনার শাস্তি কী হবে, ভুক্তভোগী কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে- এই সবকিছুই আইনের মধ্যে রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে ওই ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক আইন ও বিধি প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবহন খাতের সংস্কারও জরুরি। রাজধানীসহ শহরগুলোতে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলে যাত্রী ওঠানোর জন্য চালকরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে না। সড়ক নিরাপত্তা আইন মেনে যানবাহন চলছে কিনা তা পুলিশ ও বিআরটিএকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। এই দুই সংস্থাই সড়কে উদাসীন। তাদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগও আছে।
এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ বলেন, মহাসড়কে চলাচলরত গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও সড়ক আইনে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা রয়েছে। অথচ তারা আইন মানছে না। প্রতিটি সড়কেই গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গতি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তাই চালকরা মহাসড়কে আরো বেশি বেপরোয়া। তাদের প্রশিক্ষণ, বিশ্রাম ও মাসিকভাবে বেতন পাওয়ার সমস্যা রয়েছে। বেশির ভাগই ট্রিপভিত্তিতে পারিশ্রমিক পায়। অথচ এসব সমস্যা নিরসনে আইনে সমাধানের কথা বলা আছে। এখন বিধি রয়েছে, ফলে আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা খুবই সহজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়