প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা : প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আবার সংলাপ করব

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সংলাপ কাজের সুবিধার জন্য হয়। এটি করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আবার আমরা বসব, আবার সংলাপ করব। তবে কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করিয়ে, মানে ভোটে আনতেই হবে, তা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করে থাকি, করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কি আসবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল- এই ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, এখনো গাজীপুরে নির্বাচন কবে হবে- সেই সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কুরবানির আগেই সব সিটি নির্বাচন শেষ করে দেব। কোরবানির পরে আমাদের সংসদ নির্বাচনের জন্যই মনোনিবেশ করতে হবে। কেননা, অনেক কাজ, অনেক ধরনের বিষয় আছে।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগে হবে তো, আলাদাই হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত অন্যগুলোর সময় আছে। কিন্তু আমরা এতদূর যাব না। ২৩ মে থেকে জুনের মধ্যেই ৫ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনটা কবে হবে সেটি তফসিলে ঠিক হবে।
আরপিও সংশোধনে ইসির প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে ২৮ মার্চ : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব পাস হলে এর প্রয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশনের যারা ফিল্ডে কাজ করবে, প্রত্যেকের জন্য খুব ভালো একটি কাজ হবে। আমাদের জন্য অনেকটাই ভালো হবে। বাংলাদেশ থেকে সবকিছু (নির্বাচনী অপরাধ) নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অনেকটাই কমবে বলে আশা করি। শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না। ফাঁসির আইন আছে দেশে, তাই বলে কি খুন বন্ধ আছে? তা তো না। তিনি বলেন, ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পর ভোট বাতিলের ক্ষমতা দেয়াসহ বেশ কিছু বিধান আনতে আরপিও সংশোধনে ইসির প্রস্তাবটি আগামী ২৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উঠবে। মন্ত্রিপরিষদে পাস হলে সংসদে যাবে। সংসদ যেভাবে পাস করে দেবে, সংযোজন হলেও হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সংশোধনী প্রস্তাব পাস হলে যুগান্তকারী আইন হবে। প্রার্থী, সমর্থক সবার আচরণগত পরিবর্তন হবে। এক বছরের মতো হলো আইনটা (সরকারের কাছে) পাঠানো হয়েছে। যেগুলো অপরাধ হিসেবে ছিল না, আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধানের সুপারিশ করেছি। গণমাধ্যমের যন্ত্রপাতি কেড়ে নেয়া, সেটিও অপরাধের আওতায় আসবে। সঙ্গত কারণেই যারা এ কাজ করবে, আইনটা হলে একটু হলেও মনের মধ্যে খটকা লাগবে যে আমি এই কাজ করছি, আমাকেও তো আইনের আওতায় আনা হবে। ১০ জনের না হোক দুজনের হলেও তো হলো। এতে যদি ক্ষান্ত হয়, এটাও তো বড় অর্জন মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়