প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

ছিনতাই রোধে জোরালো পদক্ষেপ দরকার

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোরের কাগজের খবরে প্রকাশ, রমজানকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য। পবিত্র মাস রমজানের শুরুতে অপরাধীদের তৎপরতা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। বড় উৎসব এলেই রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে ওঠে অপরাধী চক্র। বিশেষ করে রমজান মাসের আগে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আইনি জটিলতার কথা ভেবে ছিনতাইয়ের শিকার অনেকেই থানায় অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতির কারণেই ছিনতাইয়ের ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিভিন্ন সময় ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করলেও এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া ছিনতাইকারীরা কিছুদিন পরই জামিনে বেরিয়ে একই অপরাধে জড়িয়ে যায়। পেশাদার ছিনতাইকারীরা সাধারণত রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংকপাড়া, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, কুড়িল-বিশ্বরোড, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শংকর ও অভিজাত এলাকাসহ রাজধানীর প্রবেশমুখে সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে রাজধানীর আরো কয়েকটি স্পটে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড ও ৩০০ ফুট, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী। ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা যত ঘটছে, সে তুলনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও শাস্তির ঘটনা খুবই কম। বিচারহীনতার পরিবেশে সব অপরাধীর সাহস বেড়ে যায়। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব আন্তরিকভাবে তৎপর থাকলে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য এভাবে বেড়ে ওঠা সম্ভব ছিল না। পুলিশ বলছে, ডিএমপিতে গত এক সপ্তাহে রাজধানীতে কমপক্ষে ৩০টির মতো ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ব্যক্তিদের অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্যদিকে র‌্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নও বেশ কয়েকটি ছিনতাই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব বলছে, ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৬ মাসে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ৭৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রমজান মাসজুড়ে যেন লেনদেনে সতর্ক থাকা হয় সে জন্য ১৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এটিএম বুথে টাকা প্রবেশ করানোর আগে জাল টাকার মেশিনে শনাক্ত করা হয় এবং পুরো মাস যেন সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয় সে জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয় ওই সার্কুলারে। সার্কুলার দিয়ে দায় সারলে চলবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে রোজার সময়ে তৎপরতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ভোরে এবং সন্ধ্যার পর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ছিনতাইকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। ছিনতাই চক্রকে ধরা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। ছিনতাই রোধে অবশ্যই ছিনতাইকারীদের ধরে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছিনতাইকারীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো ছিনতাইয়ে জড়িত হওয়া খুবই উদ্বেগের। সহজে জামিনে বেরিয়ে এসে তারা যেন আবার এসব অপরাধে জড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়