প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদীর সেই ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে একসঙ্গে বসবাস ও নগদ অর্থ নিয়ে লাপাত্তার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাওনকে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পাবনা জেলাহাজতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার।
এর আগে গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে জনসম্মুখে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যান তার প্রেমিকা। গত মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকার দাবি, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে একসঙ্গে বসবাস করেছেন তারা। কিন্তু বিয়ে না করেই নগদ অর্থ নিয়ে লাপাত্তা হন অভিযুক্ত প্রেমিক। গত মঙ্গলবারের এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত প্রেমিক নুরুল ইসলাম শাওন ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মী।
ভুক্তভোগী দাবি, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিছুদিন পর ফাটল ধরে তাদের সম্পর্কে। এর কিছুদিন পর শাওনের বাবা-মা তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। কিন্তু কয়েক মাস পর ছাত্রলীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাওনের পরিবার।
তিনি আরও দাবি করেন, আইনের আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলে শাওন কৌশলে তাদের বিশেষ মুহূর্তের সময় তৈরি করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। বিয়ের প্রতিশ্রæতিতে তার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হন শাওন। গত মঙ্গলবার তাকে বাস টার্মিনালে পেয়ে ধরেন প্রেমিকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় প্রেমিকা ও স্থানীয় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেন। পরে শাওনকে থানায় নিয়ে যান প্রেমিকা। সেখানে দুজনের মধ্যে কেউ লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। গত বুধবার মেয়েটি সারাদিন বিয়ের দাবিতে শাওনের বাড়িতে অনশন করেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, গত মঙ্গলবার প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। গত বুধবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রেমিক নুরুল ইসলাম শাওনকে জেলাহাজতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়