প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

ইতিহাস গড়েই সিরিজ জিতল টাইগাররা

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে গতকাল নতুন ইতিহাস গড়ে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারাল টাইগাররা। এর আগে কখনো ১০ উইকেটের জয় পায়নি বাংলাদেশ। শুধু উইকেটের হিসেবে নয় বল হিসেবেও এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। এই ম্যাচে ২২১টি বল হাতে রেখে জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৯ বল বাকি রেখে জিতেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে আইরিশরা। তবে টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ২৮.১ ওভারে ১০১ রান তুলেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। প্রথমবারে মতো কোনো ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়ে পেসাররা। ৩২ রান দিয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম ফাইফারের স্বাদ পান ডানহাতি এই পেসার। তাসকিন আহমেদ ৩টি ও ইবাদত হোসেন ২টি উইকেটের দেখা পান। প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়া হাসান ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। ম্যাচসেরা পুরস্কার নিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেলাম, খুব ভালো লাগছে। কন্ডিশন পেসারদের পক্ষে ছিল। আমাদের এই সাফল্যের কারিগর একজনই, অ্যালান ডোনাল্ড। নতুন বলে কিভাবে আরো ভালো করা যায় আমরা এখনো সেটা নিয়ে কাজ করছি।’
১০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই মাত্র ১৩.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ৪১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল আর ৩৮ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লিটন দাস। ১০ উইকেটের প্রথম জয়ের আগে ৫ বার ৯ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। এছাড়া ৮ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছে ১২ বার। প্রথম দুই ম্যাচে মারমুখী ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করা মুশফিকুর রহিম সিরিজসেরা নির্বাচিত হন। সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমরা আরো একটি সিরিজে জয় পেয়েছি। প্রত্যেকেই খুব খেলেছে। এটি আমাদের প্রথম খেলা বা ২০০তম খেলা কিনা তা বিবেচ্য নয়। সত্যি বলতে প্রথম দুই ম্যাচে কন্ডিশন খুবই ভালো ছিল, টপ অর্ডার ভালো খেলেছে এবং মঞ্চ তৈরি করেছে যেখানে আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছি। যখন আপনি একজন অলরাউন্ডার তখন আপনাকে ব্যাট এবং গøাভস দুই ভূমিকাতেই ভালো করতে হয়। সেটা করতে পেরে খুবই খুশি।’
দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের ২৫তম সিরিজ জয়। দেশের বাইরে টাইগাররা সিরিজ জিতেছে ৮টি। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। আর আইরিশদের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলে এটি টাইগারদের নবম জয়। গতকাল জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘অবিশ্বাস্য। পুরো সিরিজটা আমরা যেভাবে খেলেছি এবং প্রথম দুই ম্যাচে দুইজনের ব্যাটিং পারফরম্যান্স তা ছিল অসাধারণ। এমন কিছু আমরা আগে করিনি। ফাস্ট বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তা অবিশ্বাস্য ছিল। এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি যে আমাদের একটি শক্ত ফাস্ট বোলিং ইউনিট রয়েছে। মিরাজের মতো একজন খেলোয়াড় যখন ব্যাট নিয়ে পারফর্ম করতে শুরু করেন তখন আমরা কম ব্যাটার নিয়ে খেলতে পারি। আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। উত্থান-পতন থাকবে কিন্তু আমাদের তাদের পিছনে থাকতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই ফরম্যাটে আমরা বিশ্বসেরা হতে পারি।’
ম্যাচ হেরে হতাশ আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই ব্যাটার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। আমরা গত ২-৩ বছরে যেভাবে খেলেছি গত ৩ দিনে তা প্রতিফলিত করেত পারিনি। আমাদের খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেছে। আমরা আশা করেছিলাম স্পিন বড় ভূমিকা পালন করবে। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট ভালো ছিল না। বাংলাদেশের পেসাররা ভালো বোলিং করেছে এবং আমরা মানিয়ে নিতে পারিনি। আমরা পরবর্তী ফরম্যাট নিয়ে চিন্তা করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। আমরা জানি সেই ফরম্যাটে আমরা কী করতে পারি। কিন্তু আমরা শক্তিশালী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলব। আমি মনে করি আমাদের ফিল্ডিং ঠিক আছে। আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের জন্য পরিস্থিতি সহজ ছিল না। আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি থাকায় বিপিএলের প্রথমঅংশে খেলতে পারবেন না সাকিব ও লিটন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আইপিএলে যখন নাকি নিলামে ডাকা হয় তার আগে আমাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে ওরা কখন খেলতে পারবে। আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। ওটা জেনেই তাদের আইপিএলের নিলামে নিয়েছে, সিম্পল। এরপর আর কোনো কিছু পরিবর্তন হলে আমরাই আপনাদের বলব। আপাতত আর তো কোনো পরিবর্তন আসে নাই। কাজেই যেটা ছিল সেটাই আছে। আমার কথা হচ্ছে এটা যদি এমন হতো তাদের বলেছি আমরা ভেবে চিন্তে দেখতেও পারি। এই ধরনের কোনো অপশন দিয়েছি খেলোয়াড়দের বা আইপিএলকে তাহলে একটা সন্দেহ থাকত, আমরা তো ক্লিয়ারকাট বলেই দিয়েছি। কাজেই আমরা এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তেই আছি, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না সত্যি কথা বলতে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়