দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

সফল হোক বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইতো সিলেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে পরপর দুটি একদিনের ম্যাচে জ্বলে উঠল বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। যার এক ম্যাচে ৩৩৮ এবং অপর ম্যাচে ৩৪৯ রান। নিজেদের দলীয় রেকর্ডটাও ভাঙল এবং গড়ল ছেলেরা। অবশ্যই এই ঝড়টা শুরু হয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি হোম সিরিজ জয়ের মাধ্যমে। তাও আবার হোয়াইটওয়াশ! শুনতেও মনটা যেন জুড়িয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে ক্রিকেটের হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষ অনেকবার আনন্দে ভেসেছে। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে কুয়ালালামপুরের ক্লাত ক্লাব মাঠে আইসিসি ট্রফির ফাইনালে এক বলে এক রানের জয়ের মাধ্যমে।
তবে এই জাতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে হতাশাতেও পুড়েছে অনেক। এক্ষেত্রে বরাবরই বাংলাদেশের দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায় টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। কিন্তু এবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের মাধ্যমে নতুন করে বাংলাদেশকে নিয়ে মানুষ এই ফরম্যাটটাতেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তবে এই জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটাই দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। কীভাবে এই চ্যালেঞ্জটায় সফল হওয়া যায়, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যায়।
সবচেয়ে বড় কথা হলো শুধু নিজের দেশের মাটিতেই নয়, বিদেশের মাটিতেও নিজেদের মেলে ধরতে হবে। মনোবল সবসময় উঁচু রাখতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন মাঠের বাইরে সঠিকভাবে অনুশীলন করা। অনুশীলনবিহীন কখনই সফলতা আশা করা যায় না। কোচের অধীনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, নিজেও নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। প্রচুর ধৈর্য-শক্তি বাড়াতে হবে এবং যেটা সম্ভব শুধু অনুশীলনের মাধ্যমে।
বেশি বেশি করে নিজের খেলার ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে নিজের ব্যাটিং, বেলিংয়ে এবং ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতাগুলো বের করতে হবে এবং সংশোধন করতে হবে। কোচ এবং ভালো খেলোয়াড়ের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো খেলোয়াড়ের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করতে হবে। দর্শকের অনুপ্রেরণায় অতি উৎসাহী এবং দুর্ব্যবহারে হাতাশও হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি বুঝে নিজের খেলাটা খেলতে হবে।
সবসময় দলের মধ্যে একতা থাকতে হবে। একটি দল হিসেবে মাঠে সবাইকে খেলতে হবে। যেই মাঠে খেলা হবে সেই মাঠ, দর্শক সম্পর্কে সিনিয়রদের অভিজ্ঞতাটা বাকি সবাইকে অবগত করতে হবে। একে অপরের ভুল সংশোধন করে দিতে হবে। খেলায় কোনো ভুল করে ফেললে তাকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে।
একজন খেলোয়াড়কে দুটি বা একটি ম্যাচে খারাপ খেললেই বাদ না দিয়ে, একটু সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। অনেকেই প্রথম দিকে খারাপ করলেও পরবর্তীতে সুযোগ পেয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে। এমন প্রমাণ কিন্তু বাংলাদেশের অনেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়।
সবসময় খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কারণ আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়কে শৃঙ্খলাবহির্ভূত কারণে দল থেকে বহিষ্কার হয়। পরবর্তীতে তারা দলে সুযোগ পেলেও আর নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। তাতে কিন্তু দেশ একজন ভালো খেলোয়াড়কে হারায়। তাই সবসময় দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে এবং সবার আগে দেশ, কথাটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে অবশ্যই দেশে এবং বিদেশে সব জায়গায় বাংলাদেশের সফলতা আসবে।

মো. আব্দুর রহমান : বালিয়াডাঙ্গা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়