দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলন : হাজারীবাগ থানার ওসির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুল হক ভূঁইয়ার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় মুরাদ নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গরু চুরি মামলায় আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তার বাবাকে থানায় ডেকে তার সামনেই রাতভর ছেলেকে শাররিক নির্যাতন চালানো হয়। সম্পত্তি থেকে চলে না গেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন মুরাদের বাবা মো. অলিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত তিনি ভোগদখল করে আসছেন। স্থানীয় শওকত আলী ও তার সহযোগীরা হঠাৎ তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। এতে সহযোগিতা করেন হাজারীবাগ থানার ওসি সায়েদুল হক ভূঁইয়া। তিনি জমি দখল করিয়ে দিতে শওকত, মনির কোম্পানি, কুতুব উদ্দিন, ইমরুল কায়েস, হাজী মো. রাসেল, আমজাদ সরদার, আলাউদ্দিন, সিদ্দিক, লুৎফর, ইসরাফিল হোসেন মামুন, খলিল, আজাদ আহম্মেদ ভুট্টো, মো. শাহিনসহ আরো কয়েকজনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন। তিনি জানান, ওসি তার ছেলে মুরাদকে রাতে থানায় ধরে নিয়ে সাজানো গরু চুরির মামলার আসামি বানায়। পরে অলিউরকে থানায় ডেকে নিয়ে তার সামনেই রাতভর ছেলে মুরাদকে নির্যাতন চালায়। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর ১৪৫ ধারায় আদালত ওই সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা জারি করে ওসিকে বিষয়টি বাস্তবায়নের আদেশ দেন। আদেশ পৌঁছানোর জন্য হাজারীবাগ থানার এসআই মহসিন আলী ও ওসি সায়েদুলকে তিন দফায় ৬৪ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরে ওসি আদালতের আদেশটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর থেকে ওসি ভুক্তভোগীকে হয়রানি করতে থাকে। গত ১৯ মার্চ মুরাদ জামিন পেলেও তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে হাজারীবাগ থানার ওসি সায়েদুল হক ভূঁইয়া জানান, মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। মিথ্যা মামলায় কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।

৫ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়