দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

শ্রীপুর : ধানখেতে পার্চিং পদ্ধতির সুফল পাচ্ছে কৃষক

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : বোরো ধানক্ষেতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগে সুফল পাচ্ছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কৃষকরা। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সম্প্রতি মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ মাঠে নেমে নিজ হাতে কৃষকের ধানক্ষেতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পার্চিং পদ্ধতির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা ডালে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে কীটনাশক প্রয়োগ না করেই ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা দমন সহজ হচ্ছে এবং খরচের বিষয়েও কৃষকরা সুফল পাচ্ছে। ফলে এলাকার কৃষকরা কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতির দিকে বিশেষভাবে ঝুঁকে পড়েছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার একযোগে মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বোরো ধানক্ষেতে পার্চিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে পাখিরা মাঠের পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে। এতে ফসলের রোগবালাই অনেকাংশে কমে গেছে। ফসলের উৎপাদন খরচও কমে গেছে। কৃষকরা আনন্দের সঙ্গে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবান হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সালমা জাহান নিপা জানান, কৃষকরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে।
কীটনাশকযুুক্ত ফসল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পরিবেশবান্ধব পার্চিং কার্যক্রম পদ্ধতির সুফল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে বিষমুক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। সেই সঙ্গে চাষের খরচও হ্রাস পাবে এবং মানব স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়