দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন পড়লে লজ্জিত হই

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে যেসব প্রসঙ্গ এসেছে, তা পড়লে লজ্জা বোধ করেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সচেতনভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এটা পড়লে এত লজ্জিত হই যে, কী দেশ হলো আমার! রিপোর্টে এসেছে যে, গণতন্ত্রের লেশমাত্র এখানে নেই, মানবাধিকারের লেশমাত্র এখানে নেই।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া স¤্রাটের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, শাহজাদা মিয়াও স্মরণ সভায় অংশ নেন।
ফখরুল বলেন, বন্দুকযুদ্ধে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, গুম হচ্ছে, বিনা বিচারে মানুষ মরছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের সত্য বলার স্বাধীনতা নেই। এই ধরনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে এসেছে। তিনি বলেন, এই রিপোর্ট বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতারা বলা শুরু করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের দিকে তাকায় না। অথচ যুক্তরাষ্ট্র নিজের দিকে তাকায় বলেই এই ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করে। সে দেশ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে তারা কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গত সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে।
সভায় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাস করে না, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। তারা ভোট চুরি করে ব্যালট ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়। নিজেরা ব্যালট বাক্সে ব্যালট ঢুকিয়ে দিয়ে বলে যে, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, এটা পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাসি নয়, এখন পার্লামেন্টারি ডিক্টেটরশিপ একনায়কতন্ত্র চলছে। সংবিধানের সর্বময় ক্ষমতায় একজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়