দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

ভুল থাকাটা অনুমেয় ছিল : অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ, ঢাবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যে প্রক্রিয়ায় চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই রচনা করা হয়েছে তাতে ভুল থাকার বিষয়টি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল এবং পরে তা-ই ঘটেছে। পাঠ্যবইয়ে যাতে ভুল না থাকে সেজন্য আমরা সুপারিশ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে সুপারিশই চায়নি শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা। পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে এভাবেই ভোরের কাগজের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, বইয়ের ভুল সংশোধন করা হবে। এই সংশোধন কতোটা কার্যকর- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথায় সংশোধন হয়। এনসিটিবি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, সংশোধন করা হল। সংশোধনীটি কি স্কুলে গিয়ে পৌঁছে? শিক্ষকরা কি সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়টি পড়ান? কাজেই এটা বলা যায়, পাঠ্যবইয়ে সংশোধনের কথা বলা হলেও কার্যত তা হয় না। কিন্তু এই ভুল শিক্ষা থেকে শিশু-কিশোররা ভুলই শিখবে।
এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে লম্ফঝম্ফ বেশি। বাস্তবায়নের দিশা নেই। হঠাৎ বলে দিলাম এই শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা রাখব না। এখন পরীক্ষার পরিবর্তে মূল্যায়ন কীরকম হবে সেটাও বলছে না। এরমধ্যে বইয়েও ভুল পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আশঙ্কা করছি, এবারের পাঠ্যবই যেমন সংশোধন হবে না, তেমনি সামনের বছরের বইও সংশোধন হবে না। এই আশঙ্কার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী বছর যে বইগুলো লেখা হবে তার লেখক তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যখন চূড়ান্ত হবে তখন তাড়াহুড়ো করে বই লেখা হবে। সেই বইয়ে পাওয়া যাবে ভুল। এভাবেই বছরের পর বছর পাঠ্যবইয়ে ভুল চলতে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়