কাগজ প্রতিবেদক : ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সিমিন হোসেন রিমি, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মুরাদ হাসান এবং খ. মমতা হেনা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে কমিটি বলেছে, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় অনেক সময় নানা অপপ্রচার চালানো হয়। এর সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো দেশে নিবন্ধিত না হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই করার কিছু থাকে না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সব সময় সাড়া পাওয়া যায় না। তাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক। এই মাধ্যমগুলো দেশে ব্যবসা, বিনোদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগের কাজে যেমন ব্যবহৃত হচ্ছে, তেমনি সাইবার অপরাধীরাও অবাধে বিচরণ করছে। অনেক নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ তাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এসব বিষয়ে জবাবদিহি করতে হলে কোম্পানিগুলোর এখানে নিবন্ধিত হওয়া, তাদের কার্যালয় থাকা উচিত। এটি করা হলে সরকার ও কোম্পানিগুলো এসব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ কিছু দেশ এটি করতে বাধ্য করেছে। তাছাড়া এসব মাধ্যমে যে ব্যবসা হচ্ছে, তার কোনো কর সরকার পাচ্ছে না। এতে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কমিটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন-আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করে। বৈঠকে দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নের কার্যক্রম নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রাম নথি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়।