দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

দুর্বল ভাষা, ভুলে ভরা বই : ষষ্ঠ-সপ্তমের ইংরেজি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা > নির্বিকার এনসিটিবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : ‘টকিং টু পিপল’ নামের অধ্যায় দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি বই শুরু হয়েছে। বইটির প্রথম অধ্যায়ের শুরুতেই লেখা হয়েছে ‘নিউ ভোকাবুলারিস’। অথচ এই শব্দটির ‘প্লুরাল’ হয় না। একই বইয়ের একই অধ্যায়ের ৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘রায়া এবং শ্রেয়ার’ মধ্যে যে কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে- তাতেও অনেক ভুল পাওয়া গেছে। একইভাবে ‘অ্যা ড্রিম স্কুল’ নাম দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে। প্রথম লাইনে কয়েকটি ভোকাবুলারি দেয়ার পরই স্কুলের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়টি সম্পর্কে তোমাদের যা ভালো লাগে তা ৫টি বাক্যে লেখ। অথচ ভাষা বা কোনো কিছু শেখার আগে ‘শোনা, বলা, পড়া এবং লেখা’- চারটি দক্ষতা যাচাই করতে হয়। কিন্তু বইতে দক্ষতা যাচাইয়ের প্রথম পরিমাপ ‘শোনা’ সম্পর্কে কোনো ধারণা বা মডেল উপস্থাপন না করে একেবারে প্রথমেই বিদ্যালয় সম্পর্কে ৫টি বাক্য লিখতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বই ঘেঁটে দেখা গেছে, বিদ্যালয় সম্পর্কে একটি কথোপকথন দেয়া হয়েছে ৪ নম্বর পৃষ্ঠায়। যে ধারণাটি এক নম্বর পৃষ্ঠায় দেয়া উচিত ছিল সেটি দেয়া হয়েছে চার নম্বর পৃষ্ঠায়। পাশাপাশি বিদ্যালয় সম্পর্কে যে কথোপকথন উপস্থাপন করা হয়েছে তাতেও ইংরেজি ভাষার স্বাভাবিক ছন্দ নেই। কোথাও লাইনে ভুল, কোথাও কমা, কোথাও ক্যাপিটাল ও স্মল লেটারের ব্যবহার ঠিকঠাক হয়নি। এই ভুলভাল ইংরেজি পড়াতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে এনসিটিবি বিষয়টি নিয়ে একেবারেই নির্বিকার। তাদের মুখে একটাই কথা- ‘সংশোধন হবে’।
শুধু এই কয়েকটি ভুলই নয়- ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটো ইংরেজি বই ঘেঁটে দেখা গেছে, বইয়ের যত্রতত্র ভুল রয়েছে। এই ভুলের পরিমাণ এতই বেশি, পাঠ্যবই থেকে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শিশু বয়সে ভুলভাল

ইংরেজি শেখার খেসারত দিতে হবে জীবনভর। পাঠ্যবইয়ে শুধু ভুল ইংরেজি লেখা হয়েছে এমন নয়; বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বাংলা ভাষাও ঢুকেছে। অথচ ইংরেজি বইয়ে বাংলা ভাষা দেয়া হয় নোট-গাইড বইয়ে। চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তমের ইংরেজি পাঠ্যবইটি আসলে কী- অর্থাৎ এটি গ্রামার বই না স্পোকেন ইংলিশের বই নাকি শেখার বই- সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু কোথাও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এর ফলে চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে ইংরেজি বইয়ে ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়া হয়েছে’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ষষ্ঠ ও সপ্তমের ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান’ বইয়ের ভুল নিয়ে দেশ তোলপাড় হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি বইয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল হয়েছে সেটি নিয়ে কেউ কথা বলছে না। তাদের মতে, শুধু ইংরেজি বইয়ের সব ভুল ঠিকঠাক করে দিতে আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শুধু ভুলের স্বাভাবিক পরিবর্তন করলেই হবে না, একেবারে খোলনলচে বদলাতে হবে। তাদের মতে, ইংরেজি বইয়ের লেখক বাছাইও ঠিকঠাক মতো হয়নি। পাঠ্যবইয়ে তাদের ‘পুওর’ ইংলিশ ব্যবহার করার কারণে ইংরেজি শিক্ষা ডুবতে বসেছে। পুরো বইয়ে যেমন কনটেন্টের ভুল রয়েছে; তেমিন ভাষাগত ভুলও পাওয়া গেছে। প্যাসেজ বা স্টোরিরও অভাব রয়েছে বইয়ে। নেই কম্পোজিশন, লেটার কিংবা এপ্লিকেশন লেখার নমুনা লিপিও।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, ইংরেজি বইয়ের কিছু ভুল নিয়ে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। সেসব তথ্য আমরা এক জায়গায় জড়ো করছি। আগামী ২৭ মার্চ থেকে এনসিটিবিতে একটি কর্মশালা শুরু হবে। সেখানে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার পর সবার মতামত নিয়ে সংশোধন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক হামিদুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, ইংরেজি বইয়ে ভুল আছে বলে জেনেছি। ভালো লেখক এবং ভালো সম্পাদকের মাধ্যমে পাঠ্যবই রচনা করা না হলে ভুল থেকেই যায় এবং ভুল থেকে শিশুরা ভুল ইংরেজি শিখবে। এটি জাতির জন্য ভয়ংকর বিপর্যয় হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ইংরেজি পাঠ্যবই তিনি রচনা করেছিলেন।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শামসুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, পাঠ্যবই লেখা একটি ‘আর্ট’। পাশাপাশি পাঠ্যবই লিখতে গেলে কতগুলো শর্ত মানতে হয়। সেটি না জানলে অভিজ্ঞরাও পাঠ্যবই লিখতে পারবেন না। ১৯৭৭ সাল থেকে ইংরেজি পাঠ্যবই লেখার সঙ্গে জড়িত থাকলেও এবার ষষ্ঠ ও সপ্তমের ইংরেজি পাঠ্যবই রচনায় প্রবীণ এই শিক্ষাবিদকে এনসিটিবি ডাকেনি। এজন্য তিনি ওই বই দুটো সম্পর্কে ভুল থাকলেও বলবেন না জানিয়ে বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে পাঠ্যবই লেখার সঙ্গে জড়িত থাকলেও কোনোদিন বলিনি, আমি পাঠ্যবই লিখতে জানি। কিন্তু এবারের পাঠ্যবই দেখে মনে হয়েছে, আমি পাঠ্যবই কিছুটা লিখতে জানি।
পাঠ্যবই ঘেঁটে দেখা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ‘ইংলিশ’ বইটি ১৮৩ পৃষ্ঠার এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ‘ইংলিশ’ বইটি ১৬৭ পৃষ্ঠার। বইয়ের বেশির ভাগ অংশেই ভুল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুয়েকটি হচ্ছে এ রকম- সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ বইয়ের ৩৭ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘রিড রুলস্ এগেইন. এন্ড, রাইট দ্য কম্প্যারেটিভ সুপারলেটিভ ডিগ্রি অব দ্য গিভেন এডজেকটিভস্ ইন ইওর এক্সারসাইজ বুক’। পুরো ইংরেজি বাক্যতে কোনো স্পেস নেই। এমনভাবে এতগুলো শব্দ লেখা হয়েছে যেন একটি শব্দে লাইন শেষ। এছাড়া ‘রিড রুলস্ এগেইন’ বাক্যটি শেষ করার পর ‘এন্ড’ দিয়ে বাক্যটি শুরু হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় ‘এন্ড’ হচ্ছে ‘কনজাংশন’। কনজাংশন দিয়ে ইংরেজি বাক্য শুরু হয় না। অথচ এবারে পাঠ্যবইয়ে তা দিয়ে শুরু হয়েছে এবং শিশুদের কাছে মেসেজ গেল, প্রথমেই ‘কনজাংশন’ দিয়ে বাক্য তৈরি করা যায়। বইয়ের এসব বিষয় দেখার দায়িত্ব যিনি সম্পাদনা করেছেন তার। কিন্তু বইয়ের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে কার্যত কেউ সম্পাদনা করেননি। এছাড়া প্রথা রয়েছে, ইংরেজি বই ইংরেজিতেই লেখা হবে। এতদিন পর্যন্ত তা মেনে আসা হয়েছে। ইংরেজি গাইড বইয়ে বাংলা লেখা থাকত। কিন্তু এবার এনসিটিবি থেকে প্রকাশ হওয়া ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বাংলা ঢুকেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইংরেজি বইয়ে বাংলা ভাষা ঢুকিয়ে ইংরেজি শেখার আগ্রহ বা ইংরেজি পড়ার সুযোগ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাঠ্যবই ঘেঁটে আরো জানা গেছে, ক্যাপিটাল লেটার দিয়ে ইংরেজি লেখা শুরু করতে হয়। কিন্তু পুরো বইয়ের বেশির ভাগ জায়গায় দেখা গেছে স্মল লেটার দিয়ে বাক্য শুরু হয়েছে। ট্যাগ কোশ্চেনগুলোর ব্যবহার দেখে ইংরেজি জানা লোকেরা হায় হায় করে উঠছেন। কীভাবে ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে ইংরেজির এমন দশা করা হয়েছে। শুধু এসবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি পুরো বিষয়টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে ‘টকিং টু পিপল’ নামের প্রথম অধ্যায়ের ১০ নম্বর পৃষ্ঠায় যে ডায়ালগ ব্যবহার করা হয়েছে তাতেও আপত্তি উঠেছে। বই ঘেঁটে দেখা গেছে, হাইস্কুলের ছাত্র সিফাত ‘মালিচাচা’ বলে ডায়লগ শুরু করেছে। আবার প্রতিটি লাইনে কথ্যভাষার ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে ‘মালিচাচা’ নাম দিয়ে ডায়লগ হতে পারে না। মালিচাচা কথ্য ভাষা, এটি পাঠ্যবইয়ে আসতে পারে না। ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি, ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের ১০ ও ১১ পৃষ্ঠায় ওই বইয়ের লেখকদের নামে ডায়লগ লিখে দেয়া হয়েছে। এনসিটিবি কিংবা পাঠ্যবইয়ের ইতিহাসে কখনোই লেখকদের ডায়লগ জুড়ে দেয়া হয় না। কিন্তু এখানে সখিনা ও দেলোয়ারের ডায়লগ জুড়ে দেয়া হয়েছে। ডায়লগগুলোও যেমন বড় বড়, তেমনি একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পর্কও নেই। দেড় থেকে দু পৃষ্ঠায় প্রতিটি ডায়লগ শেষ হয়েছে। অথচ ডায়লগ কখনোই বেশি বড় হয় না। বড় ডায়লগ ব্যবহার করে ডায়লগেরই অপব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ বই লেখা ও সম্পাদনা করেছেন রুবাইয়াত জাহান, সামীয়ুল হক, বিজয় লাল বসু, মো. আব্দুল করিম, মো. নাসির উদ্দিন, আবু নাসের মোহাম্মদ তোফায়েল হোসাইন, সখিনা আক্তার, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন ও সাইফুল মালেক। কারা লিখেছেন এবং কারা সম্পাদনা করেছেন সে বিষয়ে আলাদা কারো নাম নেই। এর মধ্যে রুবাইয়াত জাহান হচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক। বিজয় লাল বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, মো. আব্দুল করিম ময়মনসিংহ টিটি কলেজের শিক্ষক, সখিনা আক্তার ধানমন্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন ব্রিটিশ কাউন্সিলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করেন। তাদের কারোরই পাঠ্যবই লেখা ও সম্পাদনায় অভিজ্ঞতা নেই। অথচ তারা এবার ইংরেজি পাঠ্যবই লিখেছেন এবং দেদার ভুল বেরিয়ে আসছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে সরকারও বিব্রত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক গাইড রচনার জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শামসুল হকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়েছিল। সেই কমিটিতে অধ্যাপক রুবাইয়াত জাহানও ছিলেন। কিন্তু ইংরেজি লেখা দুর্বল থাকার কারণে তার গুরুত্ব ছিল না ওই কমিটিতে। ওই ঘটনার ৬ বছর পর সেই রুবাইয়াত জাহানকে এনসিটিবিতে এনে ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বই লেখা ও সম্পাদনার প্রধান দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগ আছে, এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান অভিজ্ঞ পাঠ্যবই লেখকদের বাদ দিয়ে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে পাঠ্যবই লিখিয়েছেন। যার কারণে এখন পাঠ্যবইয়ে ভুল বেরোচ্ছে আর সরকার বেকায়দায় পড়েছে। অথচ বছরের প্রথমদিন বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম বড় অর্জন। কিন্তু এবার পাঠ্যবই নিয়ে এত কেলেঙ্কারি ঘটেছে, যার কারণে দুটো পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়েও প্রত্যাহার করতে হয়েছে শিক্ষা প্রশাসনকে। এত বড় কেলেঙ্কারির হোতাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু নামকাওয়াস্তে একটি কমিটি গঠন করেই দায় সেরেছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান ভোরের কাগজকে বলেন, ২০১৬ সালে এনসিটিবিতে আমিও কর্মরত ছিলাম। সেই সময়ে ইংরেজি বইয়ের শিক্ষক গাইড প্রণয়নে রুবাইয়াত জাহান ছিলেন। শিক্ষক গাইড প্রণয়ন একটি টিম ওয়ার্ক। এখানে একজন একটু বেশি কাজ করবে, আরেকজনে একটু কম কাজ করবে। কিন্তু কমিটির সবাই মিলে পুরো কাজ শেষ করবেন। রুবাইয়াত জাহানও সে সময় এভাবেই কাজ করেছেন। তাকে গুরুত্বহীন করে রাখার খবরটি সঠিক নয়। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তমের ইংরেজি বই রিভিউয়ের কাজ শুরু হবে।
পাঠ্যবইয়ে কিছু ভুল থাকার কথা স্বীকার করে রুবাইয়াত জাহান ভোরের কাগজকে বলেন, অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে ইংলিশ বইটি লেখা হয়েছে। এতে কিছু ভুল থাকতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়। এখন সংশোধন করে দেয়া হবে। ২০১৬ সালের শিক্ষক গাইড প্রণয়ন কমিটিতে তাকে গুরুত্বহীন করে রাখার বিষয়টি তিনি ঠিক মনে করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এর জবাবে অধ্যাপক শামসুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, ওই সময় কী ঘটেছিল তা এখন আর বলতে চাই না। সবাই তো সব বিষয়ে সমান হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়