দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সূত্র পক্ষপাতদুষ্ট

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি একপেশে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো নিয়েছেন। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে। আমরা পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না, কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে যেসব বিষয় আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাউসার আহাম্মদ, সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার, সহসভাপতি বজলুর রহমান মিলন, মহাসচিব খায়রুল ইসলাম, ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি আলমগীর হোসেন খান, সহসভাপতি শামীম চৌধুরী, মহাসচিব কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। যার ফলে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে তাদের সেগুলো দেখা উচিত। ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কিনা, সেটিও দেখার বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন। ২০২০ সালে ৯৯৬ জন। ২০২১ থেকে ২০২২ সালে গড়ে প্রায় এক হাজার জন। যে দেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সেখানে অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু- সেটিই প্রশ্ন। আমাদের দেশে এমন হয় না আমি সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয়, ব্যবস্থাও হয়।
এর আগে সংগঠন দুটির সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার ও আলমগীর হোসেন খান তাদের কর্মক্ষেত্রের নানা বিষয় উত্থাপন করেন। সংবাদপত্র কর্মচারী ও নিউজপেপার প্রেস শ্রমিকদের জন্য করোনাকালীন সহায়তা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কল্যাণ ফান্ড গঠনসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন। মন্ত্রী বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়