দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গ

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কোনো কাজে সহযোগিতা না করেও এই দেশে ক্রেডিট নেয়ার লোকের সংখ্যা চরম হারে বেড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তা দেখভাল করার জন্য অনেকজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কে কত টুকু সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এই ক্লিনিকের বর্তমান অবস্থানের পেছনে ক্লিনিকের কর্মীদের তাজা রক্তে ভিজে আছে ক্লিনিকের প্রতিটি ইট, বালু, সিমেন্টসহ প্রতিটি নথিপত্র! যা কখনো শুকাবে না! শুধু এই দেশে নয়, সারা দুনিয়াতে এক বেতনে ১২ বছর চাকরি করার বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। যা হয়তো গিনেস বুকেও স্থান পেতে পারে। আসলে এই কর্মীদের এমন দৈন্য দশাই অনেক কিছু স্পষ্ট করেছে।
গুটি কয়েকের অবহেলার কারণে ক্লিনিকের কর্মীরা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হলেও আবার অনেক কর্মকর্তারা এই সিএইচসিপিদের নিয়ে ভাবেন। তারা এসব কর্মীর দুঃখের সঙ্গে একাত্মা প্রকাশ করেন। আবার মাঝে মাঝে আফসোসও করেন। এ বিষয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের স্বাস্থ্যবান্ধব এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংসদে বক্তব্য পেশ করেন।
যে কমিউনিটি ক্লিনিক সারা বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা আর স্বাস্থ্য শিক্ষা পৌঁছে গেছে- সে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের সুবিধা দিতে কেন এত অবহেলা তা আসলে খতিয়ে দেখা দরকার। এর আড়ালে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তার তদন্ত করা দরকার! আর এই তদন্তের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।
সম্প্রতি দেশের গণমাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রের আভাস দিয়ে কিছু কলাম প্রকাশিত হয়েছে। চরম হতাশা বিরাজ করছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের মাঝে। রাজস্বের ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন না করে ট্রাস্টে স্থানান্তর করে, এখন আবার ট্রাস্টের সুবিধাও না দিয়েও বছর বছর চলে যাচ্ছে! কর্মীদের প্রশ্ন- ‘এভাবে আর কত’? ‘এক যুগ চলে গেছে! আর কতকাল ধৈর্য ধরে আশায় আশায় থাকতে হবে?’ এমনিতেও এখন দেশে কোনো কিছু প্রতিষ্ঠার পেছনে শ্রম দিতে বেশিরভাগই নারাজ। কিন্তু সফলতার ক্রেডিট নিতে দেখা যাবে যে লাইন দাঁড়িয়ে যাবে তার কোনো সীমাও থাকবে না! গাছ লাগায় একজনে, পরিচর্যা করে অন্য কেউ, আর ক্রেডিট নেয় বড় বড় রাঘববোয়াল। পরিশেষে শোনা যায় তাদের নেক নজর পড়েছে বিধায় নাকি গাছ বড় হয়েছে, ফল ধরেছে!

কাজী সুলতানুল আরেফিন : লেখক, ফেনী।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়