দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র : হস্তক্ষেপ করবে না আ.লীগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝর্ণা মনি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি বাড়ছে কূটনীতিক পাড়ায় দৌড়াদৌড়ি। সরকারি ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা নিয়মিত বৈঠক করছেন ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানান পিটার হাস। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারাও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে সরকার।
বৈঠকে নেতারা বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে। একটি সুনির্দিষ্ট দলের একপেশে অভিযোগ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় দুই পক্ষের আলোচনা এসেছে। বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, আইনি ও আর্থিকভাবে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন। কমিশনকে বর্তমান সরকার শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনের ফসল। কিন্তু ২০০১ ও ২০০৬ সালে বিএনপির অপব্যবহারের কারণে ওয়ান/ইলেভেন হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়া গণতান্ত্রিক বিশ্বে এ ধরনের সরকারের অস্তিত্ব নেই। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না।
বৈঠকের আলোচনা তুলে ধরে সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলাম। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরকে আমরা বলে এসেছি, ‘ইট ইজ নট পসিবল টু রিটার্ন টু সো কল্ড কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট অ্যাগেইন।’
এদিকে মার্কিন দূতাবাস জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, বাণিজ্য, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
অন্যদিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাউন্সিলর স্কট ব্রেন্ডন, রাজনৈতিক শাখার প্রধান আর্তুরো হাইনস, মার্কি সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির সুশাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে টিম লিডার মেধাউই গিরি এবং দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মেথিউ বেহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়