মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

সেমিনারে বক্তারা : যমুনা নদীকে যারা সংকুচিত করতে চান তারা নির্বোধ

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যমুনা নদীকে সংকুচিত করার চিন্তকদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। উন্নয়নের নামে যারা যমুনা নদীকে ছোট করার চিন্তা করছেন, তারা নির্বোধ। কোনো যুক্তিতেই যমুনা নদীকে সংকুচিত করার সুযোগ নেই। সংকুচিত করার এই চিন্তা অবান্তর। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বিপন্ন নদ-নদী, হাওড় জলাশয় এবং জনমানুষের জীবিকা ও পরিবেশের নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়াটার রাইটস ফোরাম, ্এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বেলা যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বুয়েটের অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডল প্রমুখ।
যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এর প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন। এ ধরনের চিন্তাভাবনার কড়া সমালোচনে করে মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আপনারা (পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা) কেন যমুনাকে ছোট করতে চান? নদী ধ্বংস করে অর্থনীতি হতে পারে? যারা এসব চিন্তা করেন, তারা নির্বোধ। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নদী নিয়ে সরকারের যেসব সংস্থা কাজ করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার তাগিদ দেন তিনি। বেলার রিজওয়ানা হাসান বলেন, এত বছর পর এসে সরকারে মনে হলো যমুনা নদী বড়। ছোট করার দরকার। এত চওড়া নদীর প্রয়োজন নেই। নদীকে ছোট করতে হবে। এ নদী কৃষক, জেলে, গ্রামীণ মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। এ নদী ছোট করা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান।

শাহজাহান মণ্ডল বলেন, নদীর জায়গা দখল করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ নয়। তাদের দায়িত্ব কীভাবে নদী রক্ষা হবে, পানি রক্ষা হবে সেটা নিয়ে কাজ করা। যমুনা নদীকে সংকুচিত করার চিন্তা অবান্তর। এটা করা হলে বর্ষার সময়ে যে পরিমাণ পানি আসবে, তা কোনদিকে যাবে?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়