মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জ-মহেষখোলা সড়ক : এক কিলোমিটারে ভোগান্তিতে চার উপজেলার মানুষ

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : হাওড় অধ্যুষিত ভাটি অঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ-মহেষখোলা সড়কের এক কিলোমিটার সড়কের জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের চার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই এ সড়কটি যানবাহন ও পথচারী চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গত ৫০ বছরে সড়কটি মেরামতে নেয়া হয়নি তেমন কোনো উদ্যোগ।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ-মহেষখোলা সড়কের বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) রঙাছড়া থেকে জঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম কিংবা একটু বৃষ্টি হলেই যানবাহন ও পথচারী চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কটির বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহচ্ছেন চার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ সড়কটির এ যায়গায় প্রতি বছর এমন বেহাল দশা হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জনদুর্ভোগ লাঘবে নেয়নি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। এতে দুই জেলা নেত্রকোনার চার উপজেলা কলমাকান্দা, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুরের লক্ষাধিক মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
নেত্রকোনার বারহাট্রা উপজেলার কাজি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জের সাথে প্রাচীন কাল থেকেই নেত্রকোনার বাসিন্দাদের সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের মানুষের শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৫০ বছর ধরে সড়কের এ অংশটি সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদামাটিতে যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ধরমপাশা উপজেলার বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদর সুনামগঞ্জে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু বর্ষা মৌসুম কিংবা সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও এ পর্যন্ত চার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
মধ্যনগরের সৌরভ কুমার বলেন, গতকাল জরুরি প্রয়োজনে সুনামগঞ্জ যাচ্ছিলাম রঙ্গাছড়ায় এসে মোটরসাইকেল নিয়ে আটকে পরি। পরে চার থেকে পাঁচজন মিলে মোটরসাইকেলটি টেনে হিছরে জঙ্গলবাড়ি নিয়ে আসি। এতে মোটরসাইকেলটি কাদামাটি লেগে চালানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেখানে প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টা করে মোটরসাইকেলটি সচল করি। আমরা চাই চার উপজেলাবাসীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সড়কটির এ অংশটি হলেও মেরামত করা হোক।
তাহিরপুর উপজেলার চারাগাও শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এ সড়ক দিয়ে চার উপজেলাসহ তিনটি শুল্ক স্টেশনের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু গত ৫০ বছর ধরে সড়কটির এ জায়গাটি সামান্য টাকা খরচ করলেই মেরামত করা সম্ভব। কিন্তু কতৃপক্ষ কেনো যে এটি মেরামত করছেন না তা বুঝতে পারছি না। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে এলজিইডি সুনামগঞ্জের নির্বাহি প্রকৗশলী মো. মাহবুব আলম ভোরের কাগজকে বলেন, এ সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর উড়াল সেতু প্রকল্পের সড়ক। উড়াল সেতুর কাজ শুরু হলেই এটি ঠিক হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়