মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

ফের দখল হচ্ছে নোয়াখালী শহরের ছাগলমারা খাল : চলছে বহুতল ভবন দোকানপাট ও আলিশান বাড়ি নির্মাণ

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর এলাকার ছাগলমারা খালটি ফের দখল হয়ে যাচ্ছে। একশ্রেণির দখলদার খালের বেশ কিছু জায়গা দখল করে নির্মাণ করছেন বহুতল মার্কেট, দোকানপাট ও আলিশান বাসা-বাড়ি। এতে শহরের পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার রাত থেকে ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জেলা শহরের ড্রেনের মধ্যে পানি জমে গেছে। ভারি বৃষ্টি হলে শহরের বেশির ভাগ জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়, ১/১১ সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে খালটি মাইজদীস্থ আল ফারুক একাডেমি থেকে শুরু করে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তের হাট হয়ে নোয়াখালী খাল পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর নোয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সময়েও খালটি সাবেক জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের সমন্বয়ে সংস্কার করা হয়। দীঘদিন ধরে খালটির আর সংস্কার কাজে হাত না দেয়ায় ফের দখল হতে চলছে পুরনো কায়দায়।
সরজমিন দেখা গেছে, মাইজদী পৌর বাজারের পুলের পশ্চিম পাশে চারলেন সড়কের আয়তকারে পুল নির্মাণ করা হলেও বাস্তবে পশ্চিম পাশের খালটির পুরোটাই দখল করে সেই স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পুলটিও এখন আর কোনো কাজে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, জেলার দুজন ঠিকাদার ইসমাইল মিয়া ও গোলাম জিলানী দিদার নিজেদের প্রভাব, প্রতিপত্তি ও রাজনৈতিক শক্তিবলয়ের ওপর ভর করে প্রকাশ্যে সরকারি খাল দখল করে হয়েছেন এ ভবনের মূল কারিগর। অবশ্য তারা ভবনের জায়গাটি গণপূর্তের বলে দাবি করেন। তবে গণপূর্ত বিভাগ কাউকে কোনো বন্দোবস্ত দিয়েছে বলে জানাতে পারেননি নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। তিনি বলেন, আমি তো এসেছি ৯-১০ মাস হয়েছে। আমার সময়ে কোনো বন্দোবস্ত হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখে জানাব, আসলে ওই জায়গাটি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে কিনা। স্থানীয়রা বলছেন, ইতোপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে ভুল বুঝিয়ে খালটি দখল করে আইডি ভবনের নামে ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। তারা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আইডি ভবনের ফলক উন্মোচন করায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস দেখাননি।
স্থানীয়রা জানান, খালটিতে পানি চলাচলের পথ পুরোটাই বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই আল ফারুক একাডেমিসহ আশপাশের বাসা-বাড়িগুলো পানিতে একাকার হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনে বাধা থাকায় গত সোমবার রাত থেকে মাত্র ১২ ঘণ্টার হালকা বৃষ্টিতে শহরের ড্রেনগুলোতে পানি জমাট বেঁধে গেছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, ছাগলমারা খালটি আবারো সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। খালের কোনো অংশ কেউ দখল করলেও জনস্বার্থে পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ করার অধিকার কারো নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়