কাগজ ডেস্ক : ফ্রান্সের পার্লামেন্টে বিরোধীদলগুলোর ডাকে হওয়া অনাস্থা ভোটে কোনোরকমে পার পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার।
জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী পেনশন সংস্কার আইনকে কেন্দ্র করে এ অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। প্রস্তাবটি পাশ হলে তা ম্যাক্রোঁর সরকারকে ডুবিয়ে দিত আর পেনশন আইনটি বাতিল হতো, তা না হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি অনুভব করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
সোমবারের ত্রিপক্ষীয় এই অনাস্থা ভোটে যা ভাবা হয়েছিল প্রস্তাবের পক্ষে তার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। পার্লামেন্টের ২৭৮ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন; প্রস্তাবটি পাশ হতে প্রয়োজনীয় ২৮৭ ভোট থেকে যা মাত্র নয়টি কম। নতুন পেনশন আইনে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে।
অনাস্থা ভোটে ম্যাক্রোঁর সরকার বেঁচে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ শুরু হয়। পুলিশ এসব প্রতিবাদ থেকে কয়েক ডজন লোককে গেপ্তার করে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অনাস্থা প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিবাদকারীরা ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসে। পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করবেন বলে জানিয়েছেন আর ট্রেড ইউনিয়নগুলো বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশকে কিছু কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠি পেটা করতে দেখা যায়।
কয়েক জায়গায় বিশেষ মোটর বাইক ব্যবহার করা পুলিশ কর্মকর্তারাও বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হন।
সংবিধানের ৪৯ দশমিক ৩ অনুচ্ছেদ বলবৎ করে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিকে এড়িয়ে পেনশন বিল পাস করিয়ে নেন ম্যাক্রোঁ। বিরোধীরা বলছেন, ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে তার সংস্কারবাদী এজেন্ডাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তার নেতৃত্বকে দুর্বল করে ফেলেছে।
ম্যাক্রোঁর ওই সিদ্ধান্তের কারণেই বিরোধীরা তার সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।