ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

শিক্ষার্থী হত্যায় আরো এক আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীর চেরাগী পাহাড়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগকর্মী কলেজছাত্র আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান (১৮) হত্যা মামলার প্রায় ১১ মাস পর শচীন দাশ (২০) নামের আরো এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তার শচীনকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় এবং তিনি ইভান হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে গত রবিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর লালদীঘি পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি শচীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শচীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া সর্দারপাড়া গ্রামের রঞ্জিত দাশের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ পশ্চিম শহীদনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবীর বলেন, ইভান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে আগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারভুক্ত আসামি শচীন এতদিন পলাতক ছিলেন। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে লালদীঘি পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। ওসি বলেন, তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে আসকার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২০২২ সালের ২২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন আসকার বিন তারেক ইভান। তিনি বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার এলাকার এস এম তারেকের ছেলে এবং ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রমতে, এলাকায় ভাসমান দোকানে চাঁদাবাজি ও আড্ডার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসকারকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ আছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ২০ এপ্রিল। ওই দিন কাজীর দেউড়ি এলাকায় ধ্রæব নামের এক তরুণকে একা পেয়ে মারধর করেন আসকার। এর জেরে ২২ এপ্রিল ইফতারের পর চেরাগী মোড়ে আসকারের বন্ধু অমিতকে মারধর করেন ধ্রæব। বিষয়টি জানার পর আসকার চেরাগী মোড়ে আসেন। সেখানে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলে আসকারকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত আসামিদের মধ্যে শোভন দেব, সৌরভ দাশ, প্রিয়ম বিশ্বাস, সজীব নাথ, সৌভিক পাল, মো. শাখাওয়াত হোসেন, শ্রাবণ দে এবং শচীন দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়