ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

রপ্তানিসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী : রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে হবে

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। কয়েকটি রপ্তানি পণ্যে সীমাবদ্ধ থাকা যাবে না। পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটা প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রপ্তানি করব।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গতকাল সোমবার সকালে রপ্তানিসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি। তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাও বাড়ছে।
দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটরগাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার গুরুত্ব তুলে ধরে

সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্যপণ্য রপ্তানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকগুলো দেশ আমার কাছ থেকে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বিদ্যমান রপ্তানি নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নয়ন করে আরো চার কিংবা পাঁচ বছরের জন্য নতুন রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে নতুন রপ্তানি নীতি নেয়া উচিত। রপ্তানি বাড়াতে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন, এছাড়া কিছুই অর্জন করা যাবে না। কারণ একটি দেশের অর্থনীতি মূলত রপ্তানির ওপর নির্ভর করায় আমরা রপ্তানি বাড়াতে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। কাজেই, আমরা এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়