ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

বাউফলে আগাম তরমুজে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলে আগাম তরমুজে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। তরমুজের আগাম ফলনে কৃষকরা বেজায় খুশি। এজন্য অধিক লাভবানও হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যেই কৃষকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করা শুরু করেছেন। পদ্মাসেতু হওয়ায় অতি দ্রুত বাউফলের তরমুজ চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটেসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ডিসেম্বর মাসে আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই জানুয়ারি মাসে তরমুজ চাষ শুরু করেন কৃষকরা। স্বাভাবিকভাবে এপ্রিল মাসে তরমুজ পাকে। তবে উপজেলার প্রায় শতাধিক কৃষক কালাইয়া ইউনিয়নের চর শৌলা ও চর কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর মিয়াজান, চর নিমদী, চর ব্যারেট, কেশবপুর ইউনিয়নের  চর মমিনপুর এবং ধুলিয়া ইউনিয়নের চর বাসুদেবপাশায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই উচ্চফলনশীল আগামজাতের তরমুজ চাষ করেছেন।
উচ্চফলনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল ওই তরমুজ ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। এ বছর কোনো ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব কিংবা ঝড়ঝঞ্জা না থাকায় তরমুজের জন্য অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছিল। ফলে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই কৃষকরা আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি শুরু করতে পেরেছে। চর কালাইয়ার তরমুজ চাষি মো. রাসেল (৩৫) বলেন, বিগত তিন বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছি। এ বছর ৩৭ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। এর মধ্যে ১০ একর জমিতে আগাম জাতের উচ্চফলনশীল তরমুজ চাষ করেছিলাম। তিন একর জমির আগাম তরমুজ ৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।  তাতে প্রায় ৬ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। বাকি ফলও এ সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রির জন্য বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হবে। আরেক তরমুজ চাষি মো. বেল্লাল হোসেন (৪০) বলেন, দুই একর জমি লিজ নিয়ে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছিলাম। এতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। আগাম ফল পাওয়ায় দামও ভালো পেয়েছি। সব খরচ বাদ দিয়ে ৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেবের তরমুজ চাষি মো. নুর হোসেন জানান, তরমুজ চাষে মিঠা পানির প্রয়োজন হয়। তেঁতুলিয়া নদীর পানি মিঠা হওয়ায় এসব চরে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়। পদ্মা সেতু হওয়ায় সহজে তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। চাষিরা পদ্মা সেতুর ফল ভোগ করছেন। একাধিক তরমুজ চাষি জানান, বাউফলে উৎপাদিত তরমুজ বরিশাল, ঢাকা, সিলেট, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন মোকামগুলোতে পাঠানো হয়। আবার অনেক পাইকার ক্ষেত থেকেও তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি তরমুজ পাইকারি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বাউফলে ১ হাজার ৫৩২ হেক্টর জমিতে ৫২ হাজার ৮৮ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়