ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন কুবির ৭ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুবি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আমরণ অনশন স্থগিত করেছেন ৭ শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে জুস পান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।
আন্দোলনের মুখপাত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছি। আমাদের ৪টি দাবি মেনে নিয়ে আজকের (সোমবার) মধ্যে প্রশাসন দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে আমরা সন্তোষজনক আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না দেখলে পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এর আগে রবিবার বিকাল ৪টার দিকে অনশন শুরু করেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন। পরে রাত ৮টার দিকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান পলাশ তাদের সঙ্গে অংশ নেন। দাবি আদায় না হওয়ায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম এবং দুপুর ১টায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবি দাস অনশন শুরু করেন।
অনশন শুরুর পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানালেও সোমবার দুপুর ১টার দিকে অনশনকারীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের মুখপাত্র জাহিদুল ইসলাম, সমন্বয়ক ইমাম হোসাইন মাসুম এবং পাপন মিয়াজি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, প্রক্টরের অপসারণ, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত করা।
অনশনরত শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, আমরা যে পাঁচটি দাবি আদায়ে অনশন করেছি তার মধ্যে চারটি দাবি প্রশাসন অতি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন শিথিল করেছি। তবে আমরা আশানুরূপ ফলাফল না পেলে আরো জোরালো আন্দোলনের দিকে যাব।
এর আগে অনশন চলমান অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিম ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এসে কথা বলেছেন।
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের সব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই। প্রক্টরের অপসারণের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত ছাত্রলীগের একটি পক্ষ আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকারণে পদত্যাগ চেয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
এ সময় উপউপাচার্য বলেন, আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। তোমরা তোমাদের শিক্ষা জীবনে ফিরে যাও। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের এবং আমাদের। এখন আন্দোলন শেষ, এখান থেকে যাবা তারপর যদি কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে এটার ব্যবস্থা আমরা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে আইডি কার্ড নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের কথা জানিয়েছি। আর অছাত্র এবং অবৈধ কেউ হলে থাকতে পারবে না। যে দুজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়ছে সেটা স্থগিত থাকবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের রিপোর্ট অনুসারে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর প্রক্টরের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়