ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

দ্রুততম দুই হাজারের ক্লাবে লিটন

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকাল ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এই ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের নবম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। ছাড়িয়ে যান দেশের দুই কিংবদন্তি সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। স্পর্শ করেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান বোর্ড কর্মকর্তা শাহরিয়ার নাফিসের রেকর্ড।
ওয়ানডেতে দুই হাজার রান করতে লিটনের লেগেছে ৬৫ ম্যাচ ও ৬৫ ইনিংস। তার আগে ৬৫ ইনিংসে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। সেটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৫তম ইনিংস। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এত দিন এটাই ছিল দ্রুততম দুই হাজার রানের রেকর্ড। তবে সময়ের হিসেবে দ্রুততম নাফিস। ওয়ানডে অভিষেকের পর ৫ বছর ২৬৬ দিনেই মাইলফলকটির দেখা পান সাবেক এই বাঁহাতি ওপেনার।
আর ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়ার পর লিটনের দুই হাজারের ক্লাবে ঢুকতে সময় লাগে ৭ বছর ৯ মাস ২ দিন। ৬৪ ম্যাচে ৬৪ ইনিংসে ১৯৪৫ রান নিয়ে গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করতে নামেন লিটন। তার দরকার ছিল ৫৫ রান। ব্যাক্তিগত ৪৯ রানের মাথায় ম্যাথু হামফ্রিসের বাঁ হাতি স্পিনের খাটো লেংথের বল ছক্কা হাকিয়ে পূর্ণ করেন দুই হাজার রান। লিটনের আগে টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও হাবিবুল বাশার।
লিটনের ও নাফিসের পর দ্রুততম সময়ে টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে দুই হাজার রান করেছেন সাকিব আল হাসান। ৬৯ ইনিংসে দুই হাজার রান করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের লেগেছিল ৭০ ইনিংস। এর আগের সাতটি ওয়ানডে ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাননি লিটন। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে খেলেছিলেন ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ভিন্ন ফরম্যাটে তার ব্যাট জ্বলে উঠলেও নিষ্প্রভ ছিলেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। অবশেষে মাইলফলক ছোয়ার দিনে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৮ ফিফটি ছাড়াও ৫টি সেঞ্চুরি আছে এই ডানহাতি ওপেনারের। আর টাইগারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংসটিও লিটনের দখলে। তবে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা। মাত্র ৪০ ইনিংসে দুই হাজার ছোঁয়ার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি জহির আব্বাস ও ইংলিশ কেভিন পিটারসেনের ৪৫ ইনিংসের রেকর্ড। পরে ৪৫ ইনিংসে ২ হাজার করেন বাবর আজম।
এর আগে গত বছরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন লিটন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ইতিহাসে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড আগেই ভেঙেছিলেন তিনি। সেটা ছাড়িয়ে যেতে পারত দুই হাজারও। গত বছর ১৩ ফিফটির সঙ্গে লিটন করেন ৩ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ১৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেও রেকর্ড গড়েন তিনি।
২০২২ সালের শেষ ইনিংসে দলের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ৭৩ রান আসে তার ব্যাটে। এতে করে তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর তিনি করেন ১ হাজার ৯২১ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের উপরে কেবল পাকিস্তানের বাবর আজম। অল্পের জন্য বাবরের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক গত বছর করেন ২ হাজার ৪২৩ রান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়