ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে উন্নয়নের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির নিকট কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করলে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মো. জহুরুল হক ও সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উপরও জোর দেন। দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে, দুর্নীতি দমনে নানামুখী সীমাবদ্ধতা কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছে দুদক। অর্থ পাচার প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি প্রতিরোধে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। নিজেদের সীমাবদ্ধতা কমাতে দুদক রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া প্রতিবেদনে যেসব পদক্ষেপ ও সুপারিশের কথা বলেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অর্থ পাচারের বিষয়টি। এ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রোঅ্যাক্টিভ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) এবং এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা, মিউচুয়্যাল লিগ্যাল এসিসট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো, বিদেশি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইউনিট গঠন ও জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে থাকে এমন দেশগুলোর দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সঙ্গে তথ্য, ইন্টেলিজেন্স, সাক্ষ্য-প্রমাণ আদান-প্রদান, সম্পদ ফ্রিজ, ক্রোক, বাজেয়াপ্তকরণ ও পুনরুদ্ধার কার্যকর করার জন্য দ্বিপক্ষীয় আইনি সহযোগিতা চুক্তি (মিউচুয়্যাল লিগ্যাল এসিসট্যান্স ট্রিটি) করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে দুদক।
পাচার হয়ে যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে কিছু ক্ষমতা বা দায়িত্ব চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া প্রতিবেদনে সরকারকে করা অনুরোধের বিষয়টি তুলে ধরেছে দুদক। এর মধ্যে অর্থ বা সম্পদ পাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায় দুদক। সেজন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর অধীন সাতটি অপরাধকে দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
চ-১থ(২০-০৩-২০২৩)থঘবংি-৬৪

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়