ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে শিরোপার আরো কাছে বার্সেলোনা

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : স্প্যানিশ লা লিগায় চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে এলো ক্লাসিকোতে ১০০তম জয়ের দেখা পেয়েছে বার্সেলোনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। ২৬ ম্যাচে ২২ জয়, ২ ড্র এবং ২ হারে বার্সার পয়েন্ট ৬৮। আর সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল। এ নিয়ে টানা ৩টি এল ক্লাসিকো জিতল বার্সেলোনা। ২০১১ সালে সর্বশেষ পেপ গার্দিওলার অধীনে এমন কীর্তি গড়েছিল কাতালান ক্লাবটি। ফলে ২০১৯ সালের পর আবারো লিগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে লেভানদোভস্কি-রাফিনিয়ারা। অপরদিকে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে রেনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গেছে মেসি-এমবাপ্পের পিএসজি।
ঘরের মাঠ ন্যূ ক্যাম্পে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সা। তবে ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোল হজম করে তারা। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রসে রোনাল্ড আরাউহোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে বিরতির আগে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরান সার্জি রবার্তো। বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে রিয়ালকে আবারো লিড এনে দেন মার্কো অ্যাসেন্সিও। তবে অফসাইডের কারণে ভিএআর তা বাতিল করেন রেফারি। এরপর নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে আলোহান্দ্রো বাল্ডের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফ্রাংক কেসি। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষে রবার্তো বলেন, ‘অ্যাসেন্সিওর গোলের পর থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াই। যদিও আমরা জানতাম না গোলটি অফসাইড ছিল। শেষ মিনিটে জয় পাওয়াটা স্বস্তির ছিল। এই ধরনের ম্যাচে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। এখনো হাতে বেশ কিছু ম্যাচ বাকি আছে। বলা যায় না মাদ্রিদও উপরে উঠে আসতে পারে। ১২ পয়েন্ট স্পর্শ করা তাদের পক্ষে সম্ভব। কিন্তু সবকিছুই এখন আমাদের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের ম্যাচের দিকে আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে।’
মার্চের শুরুতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে হেরেছিলো রিয়াল। তবে এই ম্যাচে হারের পর ভিএআরকে দায়ী করছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা অফসাইডের কারণে জিততে পারিনি। যা নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে আমাদের। বিষয়টা পরিষ্কার ছিল না। সন্দেহের অবকাশ আছে এবং এই সন্দেহ নিয়েই আমরা মাদ্রিদে ফিরব। আমরা শিরোপার আশা এখনো ছাড়ছি না। তবে আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিন্তু ১২ পয়েন্টের ব্যবধানটা একটু বেশি। এখন বার্সেলোনাকে চার ম্যাচ হারতে হবে বিপরীতে আমাদের সব জিততে হবে। কোনো কিছুই অসম্ভব না, কিন্তু পরিস্থিতি খুবই কঠিন।’
বার্সেলোনার কোচ হিসেবে জাভির এটি ষষ্ঠ ক্লাসিকো ছিল। ক্যাম্প ন্যুতে এটাই তার প্রথম ক্লাসিকোর অভিজ্ঞতা। এটি এলো ক্লাসিকোয় তাদের ১০০তম জয়। আর কেসির গোলটা ক্যাম্প ন্যুতে তাদের ৩০০০তম গোল। ২৫৩ বারের দেখায় রিয়াল জিতেছে ১০১টি, বার্সা ১০০টি। বাকি ৫২ ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই জয়ের পর আনচেলত্তির মন্তব্যের বিপরীতে অবস্থান নেন জাভি। তিনি বলেন, ‘অফসাইডটা পরিষ্কার। আর এখন এটি একটি পরীক্ষিত ব্যাপার। আনচেলত্তি যা বলেছেন তাতে আমি অবাক হয়েছি।
ভিএআর ছাড়া সবকিছু আরো কঠিন। ভিএআরের সাহায্যে সব সিদ্ধান্ত এখনো আরো নিশ্চিতভাবে নেয়া যায়। বিশেষ করে অফসাইডের সিদ্ধান্ত। রেফারির জন্য একটি পেনাল্টি বা হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত দেয়া কঠিন হতে পারে। তবে অফসাইডের প্রশ্নে বিষয়টা স্পষ্ট হয়। আমি তাই আনচেলত্তির মন্তব্যে অবাক হয়েছি।’
অপরদিকে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে রেনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। ২০২১ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে হার দেখল কিওস্টফ গালতেয়ারের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুতেই কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি। এর পরপরই ম্যাচের ৪৫ মিনিটে কার্ল তোকো একাম্বির দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় রেনে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কালিমুয়েন্দু ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মেসি-এমবাপ্পেরা। এটি এ মৌসুমে পিএসজির লিগে চতুর্থ হার।
আর এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফুলহ্যামকে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউইনাইটেড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৫ মিনিট পর এগিয়ে যায় ফুলহ্যাম। সফরকারীদের এগিয়ে দেন আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ। ৭২ মিনিটেই ৯ জনের দলে পরিণত হয় ফুলহ্যাম। একসঙ্গে দুজন দেখেন লাল কার্ড। ৭৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ১-১ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে লুক শ এর পাস থেকে ২-১ ব্যবধান গড়ে ফেলেন মার্সেল সাবিতজার। নির্ধারিত মিনিটের যোগ করা সময়ে ব্যবধান ৩-১ করেন ব্রুনো। ফলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় রেড ডেভিলসদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়