ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে আইজিপি : আরাভকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছি

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে বসবাসরত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে পালিয়ে গিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বনে যাওয়া পুলিশ হত্যার আসামি আরাভকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছি। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরীর নন্দন কানন এলাকায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানাধীন এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ডিআইজি আনোয়ার হোসেনসহ নগরী ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরাভ খানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা তার (আরাভ খান) বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। ইন্টারপোলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় আমরা যোগাযোগ করেছি। পুলিশের এক সদস্য হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে যে নামে আমরা অভিযোগপত্র দিয়েছি, সেই নামে রেড নোটিস জারি করে সেটা ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোল সেটা আমলে নিয়েছে। এতটুকু বলতে পারি, আমরা কাজ করছি। কিভাবে কাজ করছি কিংবা কি করছি সেটা আপাতত বলতে চাই না।’
আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমাদের নলেজে এসেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আমরা সেটা আপনাদের জানাব।
আরাভ খানের সঙ্গে তারকাদের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে তারকাদের কি সম্পর্ক, তারা কি কারণে তার কাছে গেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। তারা সবাই দেশে ফিরুক, তখন আপনারাও তাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন। তবে তারকারা তার কাছে গেছেন, এখন অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের কিছু বিষয় থাকে, সেখানে তারকারা যান। তার মানে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কিংবা তারাও জড়িত এমনটা এই মুহুর্তে বলা যাবে না। তবে আমরা খতিয়ে দেখছি।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সবাই মিলে দায়িত্বপালন করছি। পুলিশ, জেলা পুলিশ, এপিবিএন, র‌্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন, ট্রিপল আর সি- সবাই মিলে কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী কাজ যারা করছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন নয় যে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারে অপহরণ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যত ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ঘটনায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়