ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

কমিশনার আনিছুর রহমান : ইভিএম নিয়ে ইসি অন্ধকারে

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এখনো অন্ধকারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেননা, হাতে থাকা মেশিনগুলো ব্যবহারযোগ্য করতেই প্রয়োজন এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা। সেটা পাওয়া যাবে কিনা, নিশ্চিত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। তা প্রস্তুত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ চিঠি যেতে পারে। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে কী হবে না হবে জানি না। উই আর ইন ডার্ক (আমরা অন্ধকারে)। গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেয়ার জন্য বলেছি। কেন এই চিঠি দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনো পাইনি। কাজেই টাকার নিশ্চয়তা না পেয়ে কাজ করে শেষ পর্যন্ত দিতে পারব না টাকা, সেটা তো ঠিক হবে না। এই অর্থবছরে অর্ধেক, পরের অর্থবছরে বাকি অর্ধেক- এ রকম একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায়, তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে কী করব। ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করব কিনা। সবটাই নির্ভর করবে অর্থপ্রাপ্তির ওপর। কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন- এমন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, আমরা তো অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকতে পারব না। যদি টাকা হাতে পাই, সে ক্ষেত্রে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে, তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে মেরামত করার জন্য। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই চূড়ান্ত সময়।
তিনি বলেন, যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই (চিঠির জবাব) পেয়ে যাই, আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা এরপরের সপ্তাহেও যদি পেয়ে যাই, তাহলে কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাব। অন্যথায় কিন্তু সময় পাব না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি, তাহলে ৭০-৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারব। না হলে তো পারব না। করব কিনা, তা পরে সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি, হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। এখনো সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, যে টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। সেজন্যই সর্বশেষ একটা চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়