ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক সুখ দিবস : পাকিস্তান ও উগান্ডার চেয়ে বাংলাদেশ ‘অসুখী’

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সুখের, সুখী জীবনের সংজ্ঞায় আরো পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। সুখী দেশের তালিকায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। এই তালিকায় গতবার বাংলাদেশ ছিল ৯৪তম। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার জাতিসংঘ প্রকাশিত সুখী দেশের তালিকায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের তালিকা অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশ শুধু ভারতের ওপরে রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১২৬তম। আর নেপাল (৭৮), পাকিস্তান (১০৮) ও শ্রীলঙ্কা (১১২) এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। আর তালিকার একেবারের তলানির দেশ আফগানিস্তান (১৩৭তম); অর্থাৎ আফগানিস্তান সবচেয়ে অসুখী।
শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়েও বাংলাদেশ ‘অসুখী’। যেমন গিনি (৯১), আইভরি কোস্ট (৯৩), ক্যামেরুন (৯৬), সেনেগাল (১০২), ঘানা (১০৭) ও উগান্ডা (১১৩) বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও (১১৮তম)।
সুখী দেশের তালিকায় টানা ছয়বার সবার ওপরে রয়েছে ফিনল্যান্ড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে এরপর আছে যথাক্রমে সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড।
এবার সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ ও যুক্তরাজ্য ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম অবস্থানে। আর রাশিয়া আছে ৭০তম অবস্থানে। এছাড়া এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর রয়েছে সবার ওপরে, ২৫তম। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে সুখী দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত (২৬)।
প্রসঙ্গত, সুখী এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই আজকের দিনটিকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি।
জাতিসংঘের সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেয়া হয়।
এ ছাড়া বিশ্ব মহামারির ধাক্কা সামলানোর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ সারা বিশ্বকে এক ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। দেশে দেশে বেড়েছে খাবার-জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। এবারের সুখের সূচকে ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রতিফলন দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়