ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

স্বামীর ওষুধ কিনতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পরে স্ত্রী : খোয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোন ও টাকা

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা রিয়াজুল হাসান রতনের দুটো কিডনিই নষ্ট। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। স্ত্রী মরিয়ম রহমান স্বামীর ওষুধ কিনে হাসপাতালে ঢোকার সময় প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়েন। চক্রটি মরিয়মের সঙ্গে কথা বলার পর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। এরপর যখন তিনি স্বাভাবিক হন তখন দেখতে পান তার গলার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ (দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ) সবকিছু নিয়ে সটকে পড়েছে চক্রটি। পরে মরিয়ম দ্রুত ছুটে যান মিরপুর মডেল থানায়। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে একটি অভিযোগও করেন তিনি। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে অসহায় ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে গতকাল রবিবার সকালে। তিনি মিরপুর মডেল থানার ১৩২/১সি বাসায় থাকেন। রাজধানীজুড়ে এ রকম অনেক প্রতারকচক্র সক্রিয় রয়েছে। তবে মিরপুর এলাকায় এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার পরই তাৎক্ষণিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।
ভুক্তভোগী মরিয়মের মিরপুর মডেল থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে মিরপুর মডেল থানাধীন শিশু হাসপাতালের সামনে থেকে স্বামীর জন্য ওষুধ কিনে পায়ে হেঁটে মিরপুর দুই নম্বরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা আনুমানিক ২৫ বছর বয়সি তিন যুবক মরিয়মের কাছে এসে গল্পের ছলে বিভিন্ন রকম কথা বলে কৌশলে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পেছনের গলিতে নিয়ে তাকে চেতনানাশক দ্রব্য দিয়ে প্রায় অচেতন করে গলায় ও কানে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও দুটি কানের দুল, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি স্বাভাবিক হয়ে দেখতে পান সবকিছু নিয়ে গেছে চক্রটি।
মরিয়ম রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামী কিডনির রোগে ভুগছেন। এখন তার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা কিডনি পরিবর্তন করতে বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকরা। আমি কতটা খারাপ অবস্থায় আছি তা কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। তিনি আরো বলেন, আমার সঙ্গে কথা বলার পর কী হলো কিছুই বুঝতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর দেখি আমার কাছে কিছুই নেই। ঘটনার পর থেকে তদন্ত কার্যক্রমে যুক্ত মিরপুর মডেল থানার এএসআই সোহাগ রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়