ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

মুক্তিপণ না দেয়ায় শিশুহত্যা : মরদেহ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তানিশা (৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর দুই লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দেয়ায় ওই স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে অপহরণকারীরা।
এদিকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে শিশু তানিশার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। শনিবার রাতে ভুট্টা খেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হলে ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার বিকাল সাড়ে চারটায় থানার সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিক্ষোভকারীরা লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টা অবস্থান করেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান, মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। স্থানীয় লোকজন জানান, ওই উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তানিশাকে শনিবার বিকাল ৩টার পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার চাচার মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
চাচা ফয়সাল জানান, অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার কাছে ফোন করে ভাতিজি তানিশা কোথায় জানতে চায়। বাড়িতে আছে বললে, তারা বলে বাড়িতে নেই, আমাদের কাছে আছে। নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। পরে বিষয়টি আমাদের মেম্বারকে জানাই। মেম্বার পুলিশকে জানায়। পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজকে (২৫) রাতে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাত ৩টার দিকে বাড়ির পাশের ভুট্টার জমি থেকে তানিশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন,

শনিবার বিকাল ৩টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তানিশা নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাত ৩টায় ভুট্টা খেত থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, হত্যাকারী মাহফুজ, আশিক, লিটন ও রতনকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
নিহত শিশুটির মা শারমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিন মেয়েটি পাশের বাড়ির মোর্শেদা মেডামের কাছে প্রাইভেট পড়তো। শনিবার প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে গেলেও মেডামের কাছে যায়নি। পরে খবর পাই যে, মেয়েকে অপহরণ করেছে, তারা দুই লাখ টাকা চায়। পঁচিশ হাজার টাকাও দেয়া হয়েছে। তারপরও তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে বলে বার বার মূর্ছা যান। তিনি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে মূর্ছা যান।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভুঞা বলেন, আটক চারজনের নামসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে শিশুটির মা শারমিন আক্তার অভিযোগ দিয়েছেন। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়