ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ : বাউফল উপজেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে সৃষ্ট সংঘর্ষ নিয়ে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপিকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটির’ আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম ফারুক। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বগা ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রভাষক মো. ফরিদ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতি মোশারেফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মার্চ বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার তার অনুসারীরাসহ একটি শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা পরিষদ গেটে আসেন। ওই সময় উপজেলা গেট থেকে ২০০ মিটার দূরে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে সমবেত প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
দুটি শোভাযাত্রা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা করে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন উপজেলা চেয়ারম্যানের শোভাযাত্রাটিকে পরিষদের মধ্যে অবস্থান নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার পুলিশি বাধা উপক্ষো করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগানের ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সামনের দিকে এগিয়ে বিএনপির পুরনো অফিস পর্যন্ত গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই সংঘর্ষে আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করা হয়। ওই ঘটনায় ‘আসম ফিরোজের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে’ -মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জাননো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে আপনারা সাংবাদিক বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় আ স ম ফিরোজ জনতা ভবনের গেটে ছিলেন যাহা আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকষণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়