কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমানে দ্রুততার প্রতিযোগিতায় সঠিক সাংবাদিকতা, সঠিক সংবাদ পরিবেশন ও সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ যেমন হয়েছে, তেমনি অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দেয়ার প্রতিযোগিতা। এটি করতে গিয়ে দেখা যায় এমন অনেক সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে, যেগুলো আসলে বিভ্রান্তিকর। অনলাইনে এটি বেশি ঘটে। তাই স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকা বা যে কোনো গণমাধ্যম শুধুমাত্র সংবাদ পরিবেশন কিংবা বিনোদনের জন্য নয়। একটি পত্রিকা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অনুন্মোচিত বিষয়গুলোকে উন্মোচিত করতে পারে। সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার যে দিকে নজর দেয় না, সেদিকে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
একটি সংবাদপত্র শিশু-কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের মনন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ছোটবেলায় অনেক দৈনিক পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকত, সেখানে আমিও লিখেছি, যা অনেক আনন্দের। এখন আর ছোটদের পাতা নেই। আছে রূপচর্চা আর রান্নার পাতা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের অজানা বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করা উচিত। রাস্তায় যে পাগলটা বিড়বিড় করে কথা বলে তার পাগল হওয়ার পেছনের গল্পটা কেউ শুনতে চায় না। যে মানুষটি নদী ভাঙনে বা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরের ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের স্বপ্নের কথা কেউ লেখে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ত নিষিদ্ধ কোনো জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তার বেদনার কথা কেউ ভাবে না, লেখে না। সেগুলোও উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।