প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
মো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামে ফসলি জমির মাঝখানে এসে পৌরসভার ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে দুই বছর ধরে। আর অসমাপ্ত এ ড্রেনের মাধ্যমে গতকাল রবিবার মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই বৃষ্টির পানি নেমে ফসলি জমি ভেঙে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে নদীতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি। আশপাশের বাড়িঘরও ভেঙে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ড্রেন দিয়ে অনেক বাসাবাড়ির টয়লেট ও গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। এতে বর্জ্যযুক্ত পানি ড্রেনের মাধ্যমে ফসলের জমিতে এসে নামছে প্রতিনিয়ত। আর ফসলের ক্ষেত থেকে মহিলাদের ঘাটলা হয়ে এসব ময়লা নামছে তিতাস নদীতে। ফলে একদিকে যেমন এর ফলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে জমিতে ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফয়সাল বলেন, পৌরসভার এ ড্রেনটি তিতাস নদীতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দুই বছর ধরে আমার বাড়ির পাশে বোরো ক্ষেতে এসে এর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রেন উদ্বোধন না করলেও দুই বছর ধরেই ড্রেনে এলাকার বাসাবাড়ির পানি নামছে। এভাবে পানি নামতে নামতে প্রথমে ছোট গর্ত হয়। কিন্তু গতকাল রবিবার সকালে বৃষ্টির পানি নেমে এই ছোট গর্তের দুই পাশের মাটি ভেঙে বিশাল গর্ত হয়ে বড় আকার ধারণ করছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে আমাদের বাড়িঘরও ভেঙে গর্তে পড়ে যাবে।
তিতাস নদীতে গোসল করতে আসা মো. শাহজালাল বলেন, প্রতিদিন ড্রেনের পাশের রাস্তা দিয়ে নদীতে গোসল করতে আসি। আজ (গতকাল রবিবার) সকালে এসে দেখি রাস্তা ভেঙে বিশাল গর্ত হয়ে গেছে। এতে লোকজনের চরম দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে।
যে জমিতে এসে ড্রেনের পানি নামছে সেই জমির মালিক সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, আমার ৫ বিঘা জায়গার ওপর দিয়ে পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন যায়। তিতাস নদীতে গিয়ে পানি নামার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জমির মাঝখানে এসে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় দুই বছর ধরে ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি এসে আমার ক্ষেতে নামছে। এতে আমরা ৫ বিঘা জমিতেই কোনো ফসল ফলাতে পারছি না।
সাদিয়া নামের এক গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ড্রেনের বর্জ্য ক্ষেত থেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তিতাস নদীর মহিলাদের গোসলের ঘাটে গিয়ে নামছে।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন বলেন, কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা চলে আসায় এর মধ্যে ১৯০ ফুট ড্রেন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
হোমনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ড্রেনটি তিতাস নদী পর্যন্ত যাবে। পরে নদীর পাড় থেকে পাইপের মাধ্যমে ড্রেনের পানির লাইন নদীর মাঝখানে দেয়া হবে। দুই বছর আগে আমরা যখন ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু করি তখন বর্ষা চলে আসায় এখানে এসে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। এখন ড্রেনের বাকি কাজ করার জন্য টেন্ডার দিয়েছি। খুব শিগগিরই প্রক্রিয়া শেষে ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।