ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

জগন্নাথপুরে অসম্পূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ : অরক্ষিত বোরো ফসল > আকাশে মেঘ দেখলেই বুক কেঁপে ওঠে কৃষকের

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রিয়াজ রহমান, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : আকাশে মেঘ দেখলেই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কৃষকের বুক কেঁপে ওঠে। গত ২দিন আগেও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। হাওড়ের অনেক স্থানে বাঁধ নির্মাণ করার প্রয়োজন থাকলেও করা হয়নি বাঁধ নির্মাণ। আবার অনেক ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বালু মাটি দিয়ে।
কৃষক বলছে, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বালু মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় উপজেলার সবকয়টি হাওড়ের বোরো ফসল অরক্ষিত রয়েছে। হাওড়ে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শতভাগ শেষ হয়নি। বাঁধের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কৃষকের অভিযোগ, উপজেলা পাউবোর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে অতীতেও অকাল বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়। উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ধান। অভিযোগ উঠেছে, পাউবোর অসাধু দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে অনেক স্থানে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন না থাকলেও বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আবার যে স্থানে বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন সেখানে বাঁধ নির্মাণ না করায় লাভবান হচ্ছে অসাধু কর্তাব্যক্তি আর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করার কারলে বাঁধের কাজের সময়সীমা বাড়িয়েও ফসল রক্ষা বাঁধ সম্পন্ন হয়নি এখনো।
জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওরের বাঁধ নির্মাণ কাজের সময়সীমা শেষ হয় অথচ ৭ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েও হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি পাউব। এছাড়া নলুওয়ার হাওড়ের ১৩নং পিআইসির মধ্যবর্তী স্থানে জগন্নাথপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উদাসীনতার কারণে কাজের আদেশ না থাকায় হয়নি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত কাজ এ কারণে কৃষকের বোরো ফসল বর্তমানে অরক্ষিত রয়ে গেছে।
পাউবো হাওড় রক্ষা বাঁধের কাজ ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করলেও জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের দাবি ৭৫ ভাগ কাজও হয়নি এখন পর্যন্ত। পাহাড়ি ঢল ও অকাল বন্যার হাত থেকে হাওড়ের বোরো ফসল রক্ষা করতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু দুর্নীতির কারণে সঠিক সময় বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের কষ্টের ফসল।
জগন্নাথপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলায় ২০ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। সঠিকভাবে ফসল ঘরে উঠলে আবাদকৃত জমিতে প্রায় ৮৪ হাজার ৫৪৭ টন ধান উৎপন্ন হবে। যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানায়, হাওড়ের বেশির ভাগ ফসল রক্ষা বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বালু মাটি দিয়ে যার কারণে বাঁধগুলো হয়েছে দুর্বল ও নি¤œমানের। সামান্য বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙে যাবে। এতে করে হাওড় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নলুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক অজিদ বলেন, আকাশে মেঘ দেখলেই বুক কেঁপে উঠে। বৃষ্টিপাত হলে নি¤œমানের দুর্বল হাওড় রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাবে এই ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী জানান, হাওড় রক্ষা বাঁধের কাজ ৯০ ভাগের অধিক হয়েছে। যতটুকু অসমাপ্ত কাজ বাকি রয়েছে তা দ্রুত গতিতে এগিয়ে ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্চলেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়