ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম : স্টেডিয়ামসংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : মাঠ রক্ষার ঘোষণার দুই সপ্তাহের মাথায় চট্টগ্রামের নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামের চারদিকে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মং মারমা।
এর আগে গত ২ মার্চ আউটার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। চট্টগ্রামের খেলার মাঠে কোনো মেলা হবে না ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আউটার স্টেডিয়ামে আর কোনো মেলা বসবে না। এখন থেকে আউটার স্টেডিয়ামে নিয়মিত খেলা হবে। মেলা হবে জঙ্গল সলিমপুরে। সরকারি যেসব জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে মেলার জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এছাড়া তৈরি করা হবে নতুন মাঠ।
অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মং মারমা বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আউটার স্টেডিয়ামের চারদিকে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধ দখলে থাকা আউটার স্টেডিয়ামের জায়গা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক স্থাপনাও রয়েছে। এ মাঠটি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ। এ মাঠে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। তিনি আরো বলেন, মাঠ রক্ষায় জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। চট্টগ্রামের সবগুলো মাঠ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান। পর্যায়ক্রমে মাঠগুলোতে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আউটার স্টেডিয়ামের যে মাঠ রয়েছে সেটি আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেছি। মাঠের যে অংশটুকু রয়েছে সেটি লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করার পর লাল খুঁটিও দিয়েছি। মাঠের ভেতরে যদি কোনো স্থাপনা থাকে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। একটি যুক্তিসংগত সময়ও দিয়েছিলাম। সে সময়ের মধ্যে স্থাপনাগুলো সরায়নি। তাই রবিবার আমরা অ্যাকশনে গিয়েছি। চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় ১৯১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এক বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে মেলা আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকরা নানা আলোচনা-সমালোচনা করে আসছিলেন। খেলার মাঠে মেলা আয়োজন করায় উঠতি বয়সের তরুণ-কিশোররা খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। এতে করে তরুণ-কিশোররা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম, যে মাঠে অনুশীলন করে, খেলাধুলা করে সৃষ্টি হয়েছে নন্দিত অনেক ক্রিকেটার, ফুটবলার। সেই আউটার স্টেডিয়াম মাঠটিতে খেলার বা অনুশীলনের সুযোগ পায় না খেলোয়াড়-শিক্ষার্থীরা। বাণিজ্যমেলা, বস্ত্র মেলা, বৃক্ষ মেলা, হস্ত-কুটির-শিল্প মেলাসহ বিভিন্ন ধরনের মেলা-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো মাঠটি। এতে খেলার অনুশীলন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। এটাকে শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্তরায় হিসেবে দেখেন ক্রীড়ামোদী ও অভিভাবকরা। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মেলা আয়োজনের জন্য স্থায়ী একটি ভেন্যুর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়