ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে স্কুল

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের একডালা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডাকাহার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়টি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তবুও যুগের পর যুগ বেতন ভাতা না পেয়েও স্থানীয় শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন ৪ জন শিক্ষক। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মিল্টন বলেন, ডাকাহার গ্রামে প্রায় দেড় হাজার মানুষের বসবাস। ডাকাহারসহ আশেপাশের গ্রামের শিশুদের মাঝে অনেক দূরবর্তী বিদ্যালয়ে না গিয়ে নিজের এলাকার একটি বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহণের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী আব্দুল আজিজসহ একাধিক ব্যক্তির উদ্যোগে ৩৬ শতাংশ জমির ওপর এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। স্থাপনকালে মাত্র ৪টি মাটির কক্ষ তৈরি করে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের ও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তায় আরো দুটি ইটের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে স্থানীয় শিশুরা দূরের বিদ্যালয়ে না গিয়ে এই বিদ্যালয়েই পাঠগ্রহণ করে আসছে।
পরবর্তী সময়ে অনেক চেষ্টার পর ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত হলেও রাজনৈতিক কারণে ২০১৪ সালে গ্রামের কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে জাতীয়করণের তালিকা থেকে বিদ্যালয়টির নাম কেটে দেয়া হয়। এরপরও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পেয়ে আসছিল। কিন্তু সেই উপবৃত্তিও গত দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কপালে জুটছে না। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাশে মালিপুকুর ও চৌধুরী পুকুরপাড়ে নির্মিত আশ্রয়ণের বাড়িগুলোতে শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। ডাকাহার গ্রামসহ এই আশ্রয়ণের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহণ করছে। যেখানে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার দলবল নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন করছেন, শিশুদের ঝড়ে পড়া রোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশে এই বিদ্যালয়টি সব কিছু থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাপিয়া খাতুন বলেন, একদিন বেতনভাতা পাব এমন আশা বুকে ধারণ করে বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে আসছি। হয়তো বা একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি আমাদের এই বিদ্যালয়ে পড়বে এই স্বপ্ন প্রতিদিনই দেখে আসছি। একদিন প্রত্যন্ত এই গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত শিশুরা আধুনিকমানের বিদ্যালয়ের মনোরম শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠগ্রহণ করতে পারবে এমনই স্বপ্নের কথা প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের শুনিয়ে আসছি। হয়তোবা দ্রুতই আমাদেরসহ এই এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে আর আমরাও সম্মানিত হবো। তিনি বলেন, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকলেও শিক্ষকরা জাতীয়করণের সব সুবিধা ভোগ করে আসছেন। অথচ আমরা বছরের পর বছর বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের ঝরেপড়ার হাত থেকে রক্ষা করে আসছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির-উজ-জামান বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। দ্রুত পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টির আধুনিকায়নসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিতভাবে জানাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়