ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

ইবি রেজিস্ট্রারের অডিও ফাঁস : চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে ‘কণ্ঠসদৃশ’ অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। গতকাল রবিবার উপরেজিস্ট্রার (পিএস টু ভিসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও উপরেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার। কমিটির সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত পৌনে বারোটায় ‘সাথী খাতুন’ নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে চার খণ্ড বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ‘কণ্ঠসদৃশ’ একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস করা হয়। যেখানে ‘মঈন’ নামে এক ঠিকাদারের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা হয় তার।
ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডের একপ্রান্ত থেকে ঠিকাদার বলছেন, ‘স্যার আজকে তো জমা দিলাম কালকে ক্যাশ হবে।’ তো টাকাটা কখন, কিভাবে আপনার কাছে প্লেস হবে সেটা যদি একটু বলতেন, বললে প্রিপারেশন নিয়ে নিতাম আর কি।’ তখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলছেন, ‘তিনটার সময় কুষ্টিয়ায় এসে দিতে পারবেন?’
এর জবাবে ঠিকাদার জানান, ‘তিনটার সময় পারবো না স্যার, সাড়ে চারটার সময় পারব। ব্যাংক থেকে সাড়ে চারটার সময় পাব। চার লাখ টাকা পাব, আপনার টোটাল টাকাটাই পাব। পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আপনাকে দিতে পারব।’ এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তাকে বলেন, ‘ফোনে এসব বলার দরকার নাই।’
জবাবে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা স্যার। না, না! আমি সেইফ জায়গায় আছি স্যার।’
এরপর তাদের মধ্যে আরো বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। তাতে টাকা আদান-প্রদান সংক্রান্ত বেশকিছু আলাপচারিতা রয়েছে এবং ঠিকাদারের টাকা দিতে দেরি হওয়া, একসঙ্গে টাকা নিতে ঠিকাদারের জন্য ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের অপেক্ষা করার বিষয়টি কল রেকর্ডে বলতে শোনা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় বুধবার রেজিস্ট্রার ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে ফাঁস হওয়া অডিওটি এডিট করা বলে দাবি করেন রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়