ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

অযতেœ সৌন্দর্য হারাচ্ছে মহিষখলা স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১নং সেক্টরের ১নং সাবসেক্টর গড়ে উঠেছিল। এ কারণে মহিষখলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্মৃতিসৌধ। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২-১৩ সালে ওই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম এ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর শুধুমাত্র কোনো কর্মসূচিকে সামনে রেখে স্মৃতিসৌধটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কোনো সংস্কার না করায় এ স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য ক্রমশ বিনষ্ট হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে উত্তর-পূর্ব কোনো দখল করে একটি ছোট টিনের চালাঘর রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চালাঘরটি নির্মাণ করেছেন বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে গর্ত করে কে বা কারা মাটি উত্তোলন করে নিচ্ছে যাচ্ছে। স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশে আগাছায় ছেয়ে গেছে। অযতœ-অবহেলার চিত্রটি দৃশ্যমান। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ এলাকার ভেতরে ঘর নির্মাণের বিষয়টি অবশ্যই দুঃখজনক।বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হক বলেন, বার বার বলার পরেও স্মৃতিসৌধের ভেতর থেকে এই চালাঘরটি সরানো হয়নি। এছাড়াও দেখভালের জন্য কোনো লোক না থাকায় স্মৃতিসৌধটি অযতœ-অবহেলায় পড়ে আছে।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, ‘স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে কোনো ঘর নির্মাণ করা হয়নি। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সময় বৈদ্যুতিক সংকট নিরসনে ওইখানে কয়েকটি টিনের নিচে জেনারেটর রাখা হয়েছিল। জেনারেটরের প্রকৃত মালিক আমি। তবে জেনারেটরটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের সময় ব্যবহার করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সময় যেখানে আমি জায়গা দান করেছি, সেখানে জায়গা দখলের প্রশ্নই আসে না।’ মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘মহিষখলা স্মৃতিসৌধটি যেহেতু জেলা পরিষদ দেখভাল করে, তাই এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়