নায়িকা মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

আগের সংবাদ

শিবচরে বাস খাদে, নিহত ১৯ : আন্ডারপাসের দেয়ালে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি > আহত ১৫ জনের ৮ জন ঢামেকে

পরের সংবাদ

সেমিনারে বক্তারা : নারীর অধিকার সংবিধানে আছে, বাস্তবে নেই

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীর প্রতি বৈষম্য রোধে আইন করা হয়। অধিকার নিয়ে সভা সেমিনার হয়। কিন্তু বাস্তবে নারীরা কোনো অধিকার পায় না। ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী নারীদের সম্পত্তি বণ্টনের কথা বলে তাদের বঞ্চিত করা হয়। আবার বিভিন্ন ধর্মে নারীর আইন ভিন্ন। ভূমির উপর নারীর মালিকানা না থাকায় ব্যাংক ঋণ পায় না। তাই রাষ্ট্রের সব নারীদের অধিকার রক্ষায় একটি মাত্র আইন প্রণয়ণ জরুরি বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ নারীর ভূমি ও সম্পত্তিতে অধিকারের বাস্তবতা : রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) এর উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল শনিবার এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এএলআরডির সভাপতি ও নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবিরের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেন্ডার ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ড. ফস্টিনা পেরেরা এবং এএলআরডি উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা আছে। পারিবারিক ও সামাজিক চর্চার কারণে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধিকার নারীরা ভোগ করতে পারে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিডও সনদের অনুচ্ছেদ ২ এবং ১৬ (১সি)তে সংরক্ষণ প্রত্যাহারের বিষয়ে রাষ্ট্রের এখনো ক্ষেত্র তৈরি হয়নি বলে সরকারের দেয়া বক্তব্য অযৌক্তিক।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিসার্স ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ব্র্যাকের পরিচালক (জেন্ডার জাস্টিস এবং ডাইভারসিটি) নবনিতা চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য লাকি আক্তার প্রমূখ।
সেমিনারে নবনীতা চৌধুরী বলেন, ভূমি হলো শক্তি। ভূমি ও কৃষি জমির অধিকার পূরণ না হলে নারীর অধিকার অর্জিত হবে না।
সোহরাব হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র সবই পুরুষতান্ত্রিক। ধনী-গরিব বৈষম্য, নারীর প্রতি পুরুষের বৈষম্যমূলক আচরণ, বাঙালি-পাহাড়ী বৈষম্য এগুলো দূর করে ন্যয়ভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে হবে। এই দাবিসমূহ না শোনার বা অস্বীকৃতির চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কৃষির বর্তমান ব্যবস্থা তুলে ধরে লাকী আক্তার বলেন, রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় ‘নারী কৃষক’ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞায়ন নেই। কৃষিতে নারীকে অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে। খাসজমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে নারীর জন্য যে শর্ত জুড়ে দেয়া আছে, সেটি বৈষম্যমূলক। ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা বলেন, ভূমিতে নারীর অনধিকারের কারণ কাঠামোগতভাবে দুর্বলতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়