নায়িকা মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

আগের সংবাদ

শিবচরে বাস খাদে, নিহত ১৯ : আন্ডারপাসের দেয়ালে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি > আহত ১৫ জনের ৮ জন ঢামেকে

পরের সংবাদ

তোপের মুখে পুলিশ : রামপুরায় গাঁজা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরায় এক ব্যবসায়ীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বিকালে পূর্ব রামপুরা জামতলা শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। পরে পুলিশ সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়ে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল মিয়া। রামপুরা থানায় করা একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত করতে গিয়ে তারা আলী বিন তালহা নামের এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
তালহার ভাই আলী আল জিদান রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি গতকাল বলেন, এক ব্যক্তি লেনদেন নিয়ে ঝামেলা থেকে তার বড় ভাই তালহার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় জিডি করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রামপুরা থানার এসআই নুরুল ইসলাম, এএসআই রাসেল মিয়া তাদের এক ‘সোর্স’কে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব রামপুরার শহীদ মিনার সড়কে তাদের বাসায় আসেন। এ সময় বাসা তল্লাশি করতে গেলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এসআই নুরুল তাদের বাসায় একটি গাঁজার পোটলা রেখে দিয়ে ওই ঘটনায় তার ভাইকে আটক করতে চান। টের পেয়ে মহল্লাবাসী ছুটে আসেন এবং দুজন পুলিশ সদস্য তোপের মুখে পড়েন। খবর পেয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আসেন। অনেকেই পুরো ঘটনা ভিডিও করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এসআই নুরুল ইসলামের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো গাঁজার পোটলা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কয়েকজন। ব্যবসায়ী তালহার ভাই জিদান এ নিয়ে এসআই নুরুলের কাছে জবাব চান। একপর্যায়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যাগটি পাশে দাঁড়ানো এক আনসার সদস্যকে দিয়ে আসেন। এ সময় পলিথিনে মোড়ানো একটি পোটলা দেখিয়ে জিদান বলেন, এই গাঁজার পোটলা দিয়ে ফাঁসিয়ে তার বড় ভাইকে ধরে নিতে এসেছেন এসআই নুরুল। তখন এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এদিকে অপর পুলিশ সদস্য এএসআই রাসেল মিয়া এক ফাঁকে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। জিদান বলেন, এসআই নুরুল তার বাবার কাছে কাকুতি-মিনতির পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। শুনেছি উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। অভিযোগ ওঠা দুই পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়