আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

মঞ্চে দুই নতুন নাটক

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘পাগলা দাশু’ মঞ্চে আনছে বিবর্তন যশোরের শিশুরা। অন্যদিকে ঢাকার নাট্যদল ‘নাট্যম রেপার্টরি’ এনেছে সলিটারি কনফাইনমেন্ট। এই দুই নাটক নিয়ে জানাচ্ছেন হেমন্ত প্রাচ্য

বিবর্তন যশোরের ঢাকা ইউনিটের শিশুদের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে ‘পাগলা দাশু’। সুকুমার রায়ের লেখা থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন মৃন্ময় চক্রবর্তী ও সৈয়দ শাহিনুর রহমান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ শাহিনুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে- দাশরথি বা দাশুকে সবাই পাগলা বলে চেনে। মধ্যপাড়া বিদ্যালয়ে দাশুকে চেনে না এ রকম কেউ নেই। দাশু যে কখন কী করবে, কাকে বিপদে ফেলবে, তার জন্য অন্যকে কী ফল ভোগ করতে হবে তা নিয়ে সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে। সবাই দাশুকে কোনো কাজে রাখতে চায় না। কিন্তু সবকিছুতে ওর থাকা চাই-ই চাই। আর তাতেই যত বিপদ। কারণ দাশু থাকা মানেই উদ্ভট কিছু না কিছু ঘটবেই। নির্দেশক বলেন, ‘প্রযুক্তির বিকাশের এই সময়ে আমাদের হাতের মুঠোয় সমস্ত পৃথিবী। সার্বক্ষণিক ডুবে আছি ভার্চুয়াল জগতে। এই প্রযুক্তি নির্ভরতার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মধ্যে আছে আমাদের শিশুরা। করোনকালীন সময় থেকে যার প্রভাব বেড়েছে ভয়াবহভাবে। আমি প্রযুক্তির বিপক্ষে নয়, কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা কি নিজেদের প্রস্তুত করতে পারছি? জিপি-৫ আর ভর্তি যুদ্ধের জন্য কোচিং সেন্টারই শিশুদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এমনকি ছুটির দিনও কোচিং সেন্টারে যেতে হয়। কী করে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে? আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি। এই নাটকটির মধ্য দিয়ে শিশুদের কিছুটা আনন্দময় সময় তৈরি করার চেষ্টা। স্বপ্ন দেখি আমাদের সন্তানদের জন্যও সে রকম নির্ভেজাল আনন্দময় শৈশব আর কৈশোরের।’ নাটকটিতে অভিনয় করবেন অদ্রি, মালিহা, সায়ন, প্রত্যুষ, বর্ণ, পৃথু, ওয়াসি, কাব্য, স্বপ্ন, বর্ণ, স্বপ্নীল, মুগ্ধ, লিয়ানা ও আফশিন। নাটকটির সংগীত পরিকল্পনা করেছেন শ্রাবণী। বাদ্যযন্ত্রে রয়েছেন পৃথু, বর্ণ, ওয়াসি, স্বপ্ন ও অদ্রি। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন তৃণা, সাবন্তী ও ঐশী। আলো পরিকল্পনা করেছেন সাঈফ মণ্ডল। প্রপস তৈরি করেছেন রনি, মোহন, দ্বীপ ও নূপুর। এছাড়া মহড়া ব্যবস্থাপনায় আছেন আমেনা, লাবনী, রাব্বি ও মিথিলা।

নাট্যম এনেছে সলিটারি কনফাইনমেন্ট
‘নাট্যম রেপার্টরি’ মঞ্চে এনেছে নতুন নাটক ‘সলিটারি কনফাইনমেন্ট’। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত পেশাভিত্তিক নাট্যচর্চার দল নাট্যম রেপার্টরি এই পর্যন্ত সাতটি নাটক মঞ্চে এনেছে। বর্তমান প্রযোজনা সলিটারি কনফাইনমেন্ট নাট্যম রেপার্টরির অষ্টম প্রযোজনা। নাটকে দেখা যায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের স্বার্থ, ক্ষমতা, আধিপত্য আর ভূরাজনীতির খেলা। বাংলাদেশের মতো ছোট একটি ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিশ্ব রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কবর খোঁড়া হচ্ছে। তবুও মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সিদ্ধান্তে অটল, অনড় এবং অবিচল। যার ফলাফল বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ। নতুন একটি দেশের জন্ম। কিন্তু অবসান কি হয় ভূরাজনীতির? এই নিয়ে নাটক ‘সলিটারি কনফাইনমেন্ট’। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপু মাহমুদ, মো. ফখরুজ্জামান চৌধুরী, জয়া আহমেদ, শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, হাবিব মাসুদ, অনন্যা কথা, শিমুল সাইফুল, এইচ এম মোতালেব, শরিফুল ইসলাম মামুন ও হিমেল হিমু। শাকিল আহমেদের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা, মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন ড. আইরিন পারভীন লোপা। আলোক পরিকল্পনায় বজলুর রহমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়