আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

প্রকল্পের কমিটি নিয়ে দ্ব›দ্ব : বাগাতিপাড়ায় ১০০ একর জমিতে সেচ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রখইর গ্রামে সেচ প্রকল্পের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের দ্ব›েদ্ব প্রায় ১ মাস সেচ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ২ শতাধিক কৃষকের ১শ একর কৃষি জমির ফসলের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সেচ বন্ধের জন্য নাটোর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনকে দায়ী করছেন ভুক্তভুগী কৃষকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্দ্রখইর গ্রামে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সেচ ব্যবস্থা চালু ছিল। যা পরিচালনার জন্য গত দুই বছর আগে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই কমিটি দায়িত্ব অবহেলার কারণে পুনঃরায় কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন।
স্থানীয় কৃষক আলম মোল্লাকে সভাপতি ও আব্দুর রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ঠ নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তবে, গঠিত নতুন কমিটির ১৪ জন সদস্যের মতামত না নিয়ে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ কমিটি গঠন করেছে এমন অভিযোগে ১৪ জন কমিটি থেকে অব্যাহতি নেয়।
কমিটির এমন দ্ব›দ্ব নিরসনে সরজমিন আসেন নাটোর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন। তবে, সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে সেচ প্রকল্পের ঘরের চাবি নিয়ে চলে যান আব্দুল মতিন। ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে সেচ ব্যবস্থা। পুনঃরায় সেচ কার্যক্রম চালু করতে কৃষকরা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের অফিসে ধর্না ধরলেও কোনো সুফল পাননি। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, সেচ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে নাটোর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে অজানা কারণে তিনি সাধারণ কৃষকদের কোনো মূল্যায়ন করেন না। বরং তিনি কৃষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সময় মতো সেচ দিতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে সাধারণ কৃষক। প্রায় ১শ একর জমির ফসলের কাক্সিক্ষত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। সাধারণ কৃষকদের দাবি, সমস্যা সমাধান করে সেচ কার্যক্রম সচল করতে যেন দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। নাটোর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, পূর্বের কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হলে তা সমাধানের চেষ্টা করি। সমাধান না হওয়ায় অফিসের নির্দেশনায় সেচ প্রকল্পের ঘরের চাবি নিয়ে আসা হয়। সামাধানের চেষ্টা চলছে, সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সেচ কার্যক্রম চালু করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়