আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

পৌরসভার মাধ্যমে শহুরে সুবিধা পাচ্ছেন বাসিন্দারা

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় পৌরসভাগুলোর গঠন ও শ্রেণি উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ৩১ মে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারি করা হয়। যেখানে নতুন পৌরসভা গঠনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভার জন্য বিগত তিন অর্থবছরের রাজস্ব আয় সরকারি অনুদান বা সাহায্য ছাড়াই ন্যূনতম ২০ লাখ টাকা হতে হবে।
এদিকে যেসব ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভার বিগত তিন অর্থবছরের অর্থাৎ সরকারি অনুদান বা সাহায্য ছাড়া গড় রাজস্ব আয় ৬০ লাখ টাকা বা তার অধিক এবং হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের হার ৭৫ শতাংশ বা তার ঊর্ধ্বে সেসব পৌরসভাকে ‘খ’ উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে যেসব ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার বিগত তিন অর্থবছরের রাজস্ব আয় এক লাখ টাকা এবং হোল্ডিং আদায়ের হার সরকারের অনুদান বা সাহায্য ছাড়াই ৭৫ শতাংশ বা তার ঊর্ধ্বে সেসব পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার সচেতন বাড়ানোর মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে উন্নয়নের আওতায় আনতে ও তার সুফল পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রান্তিক সকল শ্রেণিপেশার নাগরিকদের যেকোন ধরনের সুবিধা যেমন- চিকিৎসা, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে সারাদেশে ৩২৯টি পৌরসভা মধ্যে ১৯৮টি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মাধ্যম সেখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই শহুরে সুবিধা ভোগ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পৌরসভার নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এই প্রকল্পটি মূলত পৌরসভার মধ্যে থাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। যাতে সেখানকার জনগণ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে ও ভারি বর্ষণে যাতে রাস্তাঘাট ডুবে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নাগরিক সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুস সালাম আরিফ ভোরের কাগজকে বলেন, পৌরসভার মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে সে জন্যই মূলত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখেন।
পৌরসভার বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য কী কী ধরনের ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপির নির্দেশ মতে কাজ করে যাচ্ছি। পৌরবাসীরা যেহেতু তাদের পবিত্র ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র বানিয়েছে সেজন্য আমি তাদের সেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৌরবাসীর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছি আমাদের পৌরসভায় আগে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার। যেহেতু এখানকার পরিবেশ, রাস্তা-ঘাট, লেক, উদ্যান সাইকেল লেন, মানুষ চলাচলের জন্য ফুটপথ, বিনোদন কেন্দ্র, শিশুদের জন্য শিশুপার্ক রয়েছে সেজন্য এখানে জনসংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এমনকি বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলমান। আশা করছি সেটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়